দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি: নতুন প্রজন্মের সিপিআইএমের স্লোগান “লাল ফেরাও হাল ফেরাও”। সাম্প্রদায়িকতা, বেকারত্ব, বেসরকারিকরণ আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনও মাঠে ময়দানে লালের লড়াই জারি আছে। বিভিন্ন সময়ে তা দেখেছেন রাজ্যবাসী। এখনও এসএফআই-ডিওয়াইএফআই (SFI-DYFI) এর স্লোগানে বুকে কাঁপন ধরে শাসকদলের! তবে, ভোটের ময়দানে এখনও তাদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। সম্প্রতি, পুরনিগমের নির্বাচনেও হারাতে হয়েছে, রাজ্যের মধ্যে টিকে থাকা একমাত্র ‘গড়’ শিলিগুড়ি পৌরসভাও। হারতে হয়েছে স্বয়ং অশোক ভট্টাচার্য-কেও। তা সত্ত্বেও, দেওয়ালে পিঠ ঠেকতে ঠেকতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিআইএম! আর, এই মুহূর্তে তাঁদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাই লড়াকু কোন নেতা। যাঁর নেতৃত্বে সিপিআইএমের তরুণ তুর্কি ফের একবার মাঠে-ঘাটে দাপিয়ে বেড়াবে। তা সে রাজ্য হোক বা জেলা। সেই পরিস্থিতিতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিআইএমের নতুন সম্পাদক নির্বাচিত হলেন জঙ্গলমহলের লড়াকু সৈনিক, প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার, দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত ২৪ তম জেলা সম্মেলনে গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ-কেই জেলা সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে ৬৫ জনের জেলা কমিটি। এদিকে, সুশান্ত ঘোষ-কে জেলা সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়ার পর খুশির হাওয়া গড়বেতা, চন্দ্রকোনা সহ জেলার অন্যান্য ব্লকের সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। ‘জান কবুল’ লড়াইয়ের এই সময়ে, এরকম একজন লড়াকু সৈনিককেই তাঁরা যেন চাইছিলেন! ১৯৮৭ সালে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সুশান্ত। ২০১১-তে পরিবর্তনের ঝড়েও অক্ষত ছিল তাঁর গড়! পরবর্তী সময়ে, দাপুটে এই সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে ছোটো অঙ্গারিয়া গণহত্যা, বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ড সহ একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। বেশ কয়েকটিতে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন এবং কিছু মামলায় জামিন পেয়েছেন। জেলায় ফিরেই প্রার্থী হয়েছেন শালবনী বিধানসভায়। একদা মাও অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থাতেও আশাতীত লড়াই দিয়ে, বহু কর্মীর মনোবল চাঙ্গা করেছেন। সেই সুশান্তকেই নিজেদের কঠিন সময়ে জেলা সম্পাদক বেছে নিল সিপিআইএম।
এদিকে, ৬৫ জনের জেলা কমিটিতে ৭ জন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হলেন। আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে আছেন- তরুণ রায়, সুভাষ দে, গুরুপদ দত্ত, অমলেশ বোস। প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তরুণ রায় এদিন লাল গোলাপের তোড়া দিয়ে নব নির্বাচিত জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ-কে শুভেচ্ছা জানান। উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব, অনাদি সাহু প্রমুখ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুশান্ত কর্মী-সমর্থকদের সেই কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েই বলেন, “অবিভক্ত মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামী সুকুমার সেনগুপ্তের হাত ধরে প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই জেলায়। সেই সময় সিপিআইএম এর সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০০। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক দীপক সরকার প্রমুখদের নেতৃত্বে বাড়তে বাড়তে তা ২৯ হাজারে পৌঁছেছিল। প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তরুণ রায় কঠিন সময়েও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। আর এই কঠিন সময়েও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে, নতুন করে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের লড়াই দুর্নীতি আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। সেই লড়াই আজ থেকেই শুরু হোক।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…