দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ ফেব্রুয়ারি: কোন তালিকা সঠিক? রাজ্য নেতৃত্ব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী’র সই করা সংশোধিত তালিকাই সঠিক। তাতে অনুমোদন দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” কিন্তু, সেই তালিকা নয়, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে এখনও জ্বলজ্বল করছে সই-বিহীন প্রথম তালিকা! এবার সেই প্রথম তালিকা ধরেই প্রচার এবং দেওয়াল লিখন শুরু করে দিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তীর স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তী। তিনি প্রয়াত দেবী চক্রবর্তী’র একমাত্র পুত্রবধূ। তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের সংশোধিত তালিকায় তাঁর নাম ‘কেটে’ প্রার্থী করা হয়েছে মিতালী ব্যানার্জি নামে এক মহিলা কর্মীকে! এ নিয়ে নির্মাল্য চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীরা জানিয়েছেন, “আমরা দলের নির্দেশ মেনে প্রচার শুরু করলাম আমাদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়ি বাড়ি প্রচার ও দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে।” বলাই বাহুল্য, সোনালী’র নামের পাশে দলীয় প্রতীক অর্থাৎ জোড়াফুল চিহ্ন-ই শোভা পাচ্ছে! এ নিয়ে জেলার রাজনীতিতে নানা গুঞ্জন শুরু হলেও, নেতৃত্বের তরফে কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি।

thebengalpost.net
সোনালী চক্রবর্তীর দেওয়াল লিখন :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল (৪ ফেব্রুয়ারি), সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ যে তালিকা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে আপলোড বা পোস্ট করা হয়েছে, সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সই বা কোনো স্ট্যাম্প নেই। তবে, অত্যন্ত সুন্দর ও যথাযথভাবে সেখানে বাকি সবকিছুই সঠিকভাবে উল্লিখিত হয়েছে। এই তালিকা প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অফিসে হোয়াটসঅ্যাপে আরেকটি সংশোধিত তালিকা পাঠানো হয়। সেখানে দুই শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই আছে ঠিকই, তবে অজস্র কাটাকুটি ও বানান ভুলের ছড়াছড়ি! তবে, সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, “সংশোধিত এই তালিকাই সঠিক। আগের তালিকার সঙ্গে প্রায় ২০ শতাংশ পার্থক্য আছে।” তবে, সংশোধিত তালিকা নিয়ে শুধু মেদিনীপুর-খড়্গপুর নয়, বিতর্ক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রাজ্যের সর্বত্র! এর মধ্যেই, মেদিনীপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে, ওই সংশোধিত তালিকা নয়, প্রথম তালিকা ধরেই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করলেন সোনালী চক্রবর্তী। এ নিয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বক্তব্য, “AITC (All India Trinamool Congress)’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে এখনও প্রথম তালিকাই দেওয়া আছে। দ্বিতীয় যে তালিকাটিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার সম্পর্কে আমরা কিছু জানিনা। উর্দ্ধতনের নির্দেশে প্রচার ও দেয়াল লিখন শুরু হয়েছে।” এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, “কাল রাত থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে কানে আসছে। আমরা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছি। দ্রুত সমস্ত বিতর্কের অবসানেরও চেষ্টা করছি।”

thebengalpost.net
তৃণমূলের প্রতীকেই দেওয়াল লিখন: