দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি: দলের জন্মলগ্ন (১৯৯৮-র ১ জানুয়ারি) থেকে ব্লক সভাপতি। নিঃসন্দেহে ব্লকে সিপিআইএম বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ! একটা সময় পর্যন্ত শালবনী ব্লকে ‘তৃণমূল কংগ্রেস’ মানেই স্বয়ং নেত্রীর (মমতা ব্যানার্জির) কাছেও একটা নামই উঠে আসত। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের (অধুনা, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের অন্তর্গত) অধীন শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ‘কান্ডারী’ নেপাল সিংহ। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে টানা ২৬ বছর ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পর, গতকাল অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) তাঁকে ওই ‘পদ’ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ-বৃত্তেই থাকা জ্যোতিপ প্রসাদ মাহাত-কে। জ্যোতিপ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ পদেও আছেন। অপরদিকে, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে আছেন নেপাল সিংহ। দু’জনই দলের জন্মলগ্ন থেকে সিপিআইএম বিরোধী আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন বলে ব্লক তৃণমূলের প্রতিটি সদস্যই জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই দলের ‘অ-ঘোষিত’ নীতি নেওয়া হয়েছিল, যাঁদের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁদের মধ্যে কেউ যদি দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্বে থাকেন; তবে তাঁদের সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। যদিও, এক্ষেত্রে অভিষেক ব্যানার্জির ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি! কারণ, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ব্লক সভাপতি থেকে জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা অনেকেই জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে আছেন! কেউ কেউ আবার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতিও। তবে, আপাতত কোপ পড়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের উপরই! ঠিক এই কারণেই, শালবনী ছাড়াও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের গড়বেতা-৩ নং ব্লকের চিন্ময় সাহা-কেও ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্বজিৎ সরকার-কে। অন্যদিকে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রমকেও। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ অশোক কুমার রাউতকে। এর আগেও তিনি ব্লক তৃণমূলের দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রীনাথের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছিল বলে সূত্রের খবর। রাজনৈতিক মহলের মতে, নতুন তিন ব্লক সভাপতিই নাকি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা-র ঘনিষ্ঠ! যদিও এই বিষয়ে দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, “শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পরিবর্তন হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের দলের ব্লক সভাপতি হিসেবে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। সেটা এবার কার্যকরী করা হল! আর কেশিয়াড়ির ক্ষেত্রে স্বয়ং নেত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…