দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মে: মাত্র ৩ মাস! বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের একমাত্র বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস (Bayron Biswas) যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার বেলা তিনটে নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস ‘হাত’ ছেড়ে জোড়া-ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। তাঁর হাতে পতাকা তুলে দেন অভিষেক। গলায় পরিয়ে দেন জোড়া-ফুলের উত্তরীয়। এই মুহূর্তে ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়! কারণ, মাত্র ৩ মাস আগে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস নেতা বাইরন বিশ্বাস বিপুল ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূলকে। বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের একমাত্র ‘প্রদীপ’ হিসেবে জ্বলে উঠেছিলেন! জেতার পরই কথা দিয়েছিলেন, “তৃণমূলে যোগদান করার প্রশ্নই ওঠে না! তৃণমূল আমাকে কিনতে এলে, আমি তৃণমূলকে কিনে নেব। কংগ্রেসে থেকে, বিরোধী দলের বিধায়ক হিসেবে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব।” তাঁকে নিয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’ হয়েছিলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী থেকে বামফ্রন্টের সুজন চক্রবর্তী-রা। কিন্তু, সেই উচ্ছ্বাস স্থায়ী হলো মাত্র ৩ মাস। ব্যর্থ হল সাগরদিঘি-মডেল! সমস্ত জল্পনা সত্যি করে, সোমবার (২৯ মে) বাইরন বিশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হাত’ ধরে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

thebengalpost.net
অভিষেক-বাইরন :

এনিয়ে, খোদ সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হতে, নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্যই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।” তিনি এও জানান, “যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে চলেছেন, তাঁকে সমর্থন করতেই তৃণমূলে এসেছি।” এ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “অধীর চৌধুরী তো একজন সাংসদ। আমি যদি বোতাম টিপি রাজ্যের অনেক সাংসদ কালই তৃণমূলে চলে আসবে। বাংলার বাইরের অনেক সাংসদও আসবে। যখন বিজেপির জন্য দরজা খোলা হবে, তখন বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রীও আসবেন। অপেক্ষা করুন।”। বহরমপুর থেকে লোকসভায় লড়াই করার চ্যালেঞ্জ-ও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি! এই ঘটনাকে সাগরদিঘির মানুষের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে ভূষিত করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। মানুষ-ই এর জবাব দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।