দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ মার্চ:ফের একবার কপাল পুড়তে চলেছে বামেদের! রাজ্যের ১০৮-টি পৌরসভার ২২৭৪-টি ওয়ার্ডের মধ্যে, সর্বাধিক ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন খড়্গপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিন। রেকর্ড ৫২১৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মুমতাজ কুদ্দুসিকে। তিনি (মুমতাজ) আবার খড়্গপুর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান (ভাইস চেয়ারম্যান) শেখ হানিফের স্ত্রী। ফলে ৪ নং ওয়ার্ডের লড়াইটা সহজ ছিলোনা সিপিআই প্রার্থী নার্গিসের কাছে! তবে, “বিশ্বাসঘাতককে জবাব দিন” বলে ভোট চাওয়া সেই নার্গিস-ই এবার জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে চাইলেন! নার্গিস বললেন, “আমি ভাবিনি এলাকাবাসী আমাকে এভাবে আপন করে নেবে। জিতব ভেবেছিলাম, তবে মানুষের এত ভালোবাসা, সমর্থন পাব তা আশা করিনি!” তাঁর এও দাবি, “লড়াইটা সহজ ছিলনা। সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে।” তৃণমূলে ছিলেন, সিপিআই-এর টিকিটে জয়ী হয়েছেন। তবে, ফের তিনি তৃণমূলে গিয়ে মানুষের উন্নয়ন করতে চাইছেন! তাই, নার্গিস বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। তিনি যদি আমাকে সুযোগ দেন, কৃতজ্ঞ থাকব।”

thebengalpost.net
নার্গিস পারভিন (Nargish Parveen) :

উল্লেখ্য যে, খড়্গপুর পৌরসভার এই ৪ নং ওয়ার্ড বরাবরাই বামেদের শক্ত ঘাঁটি। এর আগের নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআই প্রার্থী সেখ হানিফ। পরে তিনি তৃণমূলে গিয়ে বিদায়ী বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। আসন-টি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায়, এবার তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়েছিলেন শাসকদলের হয়ে। কিন্তু, পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল থেকে সিপিআই-তে যাওয়া নার্গিসের কাছে! এবার সেই নার্গিসও তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। রাজনৈতিক মহল বলছে, “সিপিআই তথা বাম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া পাঁচবেড়িয়া এলাকার (৪ নং ওয়ার্ডের) লোকজন ফের একবার প্রতারিত হলেন!” সিপিআই নেতা বিপ্লব ভট্ট বললেন, “শেখ হানিফ-কে মানুষ জবাব দিয়েছিলেন। রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন নার্গিস। শুনলাম তিনিও তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কি আর করা যাবে, ওনাকেও মানুষই জবাব দেবে!” কিন্তু, নার্গিসকে কি তৃণমূলে নেওয়া হবে? এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা শুক্রবার জানিয়েছেন, “উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চেয়েছেন। আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা বলেছি, আবেদন করার জন্য। সেই আবেদন আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেব।”