দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ সেপ্টেম্বর: সামনেই পৌরসভা নির্বাচন, তারপরেই পঞ্চায়েত। বিধানসভায় বিশাল জয়ের ‘আত্মতুষ্টি’ নয়, এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়লেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে একের পর এক কর্মী সভা। মহিলা, যুব থেকে মূল সংগঠন। নারায়ণগড়ের কর্মী ও সংবর্ধনা সভায়, কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে মেদিনীপুর সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ সিংহ বললেন, “বিধায়ক সংখ্যা এবং পরিস্থিতির বিচারে, এটাই হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের সেরা সময়। কিন্তু, আপনারা মাঠে লড়াই করা কর্মী, আপনারা জানেন আত্মতুষ্টিতে ভুগে ঘরে বসে থাকলে চলবে না, এই মুহূর্ত থেকে মাঠে নেমে পড়তে হবে পৌরসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য। মানুষের সঙ্গে, মানুষের পাশে থাকতে হবে।” প্রসঙ্গত, নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে, বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমিতে বুধবার আয়োজিত রাজনৈতিক এই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগড় বিধানসভার বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, জেলা যুব সভাপতি সন্দীপ সিংহ, জেলা S.T সেলের সভাপতি ভদ্র হেমব্রম, ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দ, ব্লক তৃনমূল যুব সভাপতি সুভাষ রায় চৌধুরী, ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মৌসম চক্রবর্তী সহ ব্লক ও অঞ্চল নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে এবং শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বুধবার দুপুরে বুথ ভিত্তিক সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো ব্লকের পিড়াকাটা কমিউনিটি হলেে। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, রাজ্য কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ ঘোষ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ সিংহ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়ারি, সহ সভাপতি বুলবুল হাজরা প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ১৬০ টি বুথের সভাপতিদের সামনে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে বললেন, “আমাদের নেত্রী ২৪ ঘন্টা মানুষের কথা ভাবছেন, ২০ ঘন্টা মানুষকে সময় দিচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার কিংবা স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী সারা বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। এভাবেই আপনারাও প্রতিটি মুহূর্ত মানুষের সঙ্গে থাকুন। মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা ভাবুন। সরকারের প্রতিটি প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে কিনা দেখুন। পদ নিয়ে ভাববেন না! আমাদের দলে একজনই নেত্রী, বাকি সবাই কর্মী। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নয়নের মণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে যে দায়িত্ব দেবেন, তা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, মানুষ সঙ্গে থাকলে, কোন পদের প্রয়োজন নেই!”
অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৌ রায়ের আহ্বানে কর্মীসভা ও সংবর্ধনা সভায় মহিলাদের ব্যাপক জনসমাগম তৃণমূল কংগ্রেস ফের একবার নিজেদের “মহিলা-শক্তি”র প্রমাণ দিল! উপস্থিত ছিলেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সভা থেকে জেলার মহিলা সভাপতি কল্পনা শেঠ বললেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য এতকিছু করছেন। কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার। ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কেন্দ্রেও সেই মহিলারা। পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ মহিলাদের জন্য। তাই, আমরা মহিলারাও তাঁর জন্য জান লড়িয়ে দেবো। সামনেই মেদিনীপুর, খড়্গপুর সহ পৌর নির্বাচন এবং তারপরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আপাতত, পৌর নির্বাচনের জন্য বুথ ভিত্তিক মহিলাদের নিয়ে বৈঠক করছি। আজকের কর্মীসভায় মহিলাদের ব্যাপক উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস প্রমাণ করছে, রাজ্যের প্রতিটি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।” অন্যদিকে, শহর মহিলা সভাপতি মৌ রায় বললেন, “মেদিনীপুরের মহিলারা একসময় কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন, আর তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গেই আছে। আজকের এই সভা ফের একবার তা প্রমাণ করলো।”