দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জানুয়ারি: ‘রেল শহর’ খড়্গপুরে ফের বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! এবার ‘দ্বন্দ্ব’ অবশ্য সাংসদ দিলীপ ঘোষেরই দুই অনুগামীর মধ্যে। তাঁদের মধ্যেই একজনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আরেকজন! রবিবার সকালে বিজেপির খড়্গপুর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি দীপসোনা ঘোষকে গ্রেফতার করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে FIR করেছিলেন উত্তর মণ্ডলের সম্পাদক পিন্টু সরকার ওরফে বাবু। পিন্টু-র অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয়েছেন দীপসোনা। বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত’ কিনা, খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ দিলীপ এও জানিয়েছেন, “কারুর জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে দল ব্যবস্থা নেবে!” ঘটনায় বিজেপি-র উদ্দেশ্যে চরম কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে জেলা তৃণমূল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) ২০-নং ওয়ার্ডের ধ্যান সিং ময়দানে বিজেপির উত্তর মণ্ডল নেতৃত্ব ‘ভারত মাতার পূজন’ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষও। ঘটনাক্রমে দিলীপ যখন মঞ্চে, সেই সময়ই তাঁর এই দুই ‘ঘনিষ্ঠ অনুগামী’র মধ্যে মঞ্চের পেছেনে মারপিট হয় বলে সূত্রের খবর। খড়্গপুর শহরে দিলীপের ‘ছায়াসঙ্গী’ পিন্টু-র অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি যখন সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি তুলছিলেন, সেই সময়ই তাঁকে লোহার রড, হকিস্টিক প্রভৃতি দিয়ে মারধর করেন বিজেপির উত্তর মণ্ডলের সভাপতি দীপসোনা ঘোষ এবং শিবা নামে এক যুবক। তিনি প্রতিবাদ করলে আরও ৭-৮ জন যুবক এসে মারধর করেন বলেও অভিযোগ পিন্টু-র! এরপর, শুক্রবার রাতেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে দীপসোনাকে গ্রেফতার করে টাউন থানার পুলিশ। তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে দীপসোনা বলেন, “তৃণমূলের এজেন্ট! প্রমাণ হয়ে গেল। আমাদের সাংসদের সঙ্গে থেকে সব খবর তৃণমূলে পাচার করত। ওই দিন ভারত মাতার পূজনের সূচনা হয়। সেই সময় এসে অসভ্য আচরণ করছিল। স্বেচ্ছাসেবকরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।”
অন্যদিকে, এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি পিন্টু। তবে, দিলীপ জানিয়েছেন, “ওখানে তো প্রায়ই মারপিট হয়। তারপর নিজেরাই পুলিশ ডেকে আনে। গ্রেফতারও হয়। জানিনা ঠিক কি হয়ছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে, যদি দেখা যায় এজন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে!” ঘটনায় বিজেপি-কে চরম কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “এটা তো কোনও রাজনৈতিক দলই নয়। দুষ্কৃতীদের দল! সাংসদের সামনেই একজন নেতা আরেকজন নেতাকে ফেলে দিয়ে মারছে। কর্মীদের ঘর থেকে সরকারি কাঠ পাওয়া যাচ্ছে, গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে! এদের বিরুদ্ধে কিছু বলতেও লজ্জা লাগে।” অন্যদিকে, ধৃত দীপসোনা ঘোষকে ৩ দিনের জন্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে রবিবার সন্ধ্যায় জানা গেছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…