দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৮ মার্চ: তৃণমূলের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য কমিটিতে সহ সভাপতি হলেন সবং তথা মেদিনীপুরের ‘ভূমিপুত্র’ ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। শুধু তাই নয়, মেঘালয় সহ উত্তর পূর্ব ভারতের দায়িত্ব দেওয়া হলো জলসম্পদ উন্নয়ন ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী মানস-কেই। মেঘালয় ইউনিটের স্টেট ইন চার্জ করা হয়েছে মানস রঞ্জন ভূঁইয়া-কে এবং সহকারী ইনচার্জ করা হয়েছে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত-কে। অন্যদিকে, ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব-কেও রাজ্য সহ সভাপতি করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদিকা হলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। স্বভাবতই, মেদিনীপুরের বিধায়কের আরও গুরুত্ব বাড়লো দলে। প্রদ্যোৎ ঘোষ এবং আশিস চক্রবর্তী (নান্টি)-কে পুনরায় রাজ্য সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, উত্তর কলকাতা (সভাপতি হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) ছাড়া রাজ্যের মাত্র ৪-টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং বনগাঁ। তমলুকের জেলা সভাপতি হলেন তুষার মন্ডল (জেলা চেয়ারম্যান সৌমেন মহাপাত্র), কৃষ্ণনগরের জেলা সভাপতি হয়েছেন কল্লোল খান, কোচবিহারের জেলা সভাপতি হয়েছেন পার্থপ্রতিম রায় এবং বনগাঁ’র জেলা সভাপতি হয়েছেন গোপাল শেঠ। অন্যদিকে, মেদিনীপুর ও ঘাটালের জেলা সভাপতি’র দায়িত্বে থাকলেন যথাক্রমে সুজয় হাজরা এবং আশিস হুদাইত-ই। উল্লেখ্য যে, তাঁদের নেতৃত্বে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৭-টি পৌরসভাতে যথেষ্ট ভালো ফল করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাটাল মহকুমার ৪-টি পৌরসভার ৬০-টি ওয়ার্ডের ৫৭-টিই পেয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, খড়্গপুরে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব থাকা সত্ত্বেও, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর মিলিয়ে ৬০-টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০-টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সর্বোপরি, একজন জেলা সভাপতি হিসেবে যেভাবে চারচাকা নিয়ে ঘুরে না বেড়িয়ে, মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা তাঁর স্কুটি নিয়ে রাতে ভিতেও মেদিনীপুর-খড়্গপুর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন নির্বাচনের সময়, তা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, প্রথম থেকেই সুজয় চারচাকা নয়, তাঁর দু’চাকার বাহনেই ভরসা রেখেছেন! মঙ্গলবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নেতাকর্মী, সভাপতি, বিধায়কদের এই ধরনের পরামর্শই দিয়েছেন, “পায়ে হেঁটে, ভ্যানে চেপে, বাইকে করে সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যান। তাঁদের আপনজন হয়ে উঠুন।”