দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ মে: মেদিনীপুর থেকে শুরু করেছেন জেলা সফর। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন, “এবার থেকে আমি ঠিক করেছি, প্রশাসনিক সভার সাথে সাথেই আমার বুথকর্মীদের সঙ্গেও মিলিত হব। মেদিনীপুর দিয়ে তা শুরু করেছি। জেলায় জেলায় করব।” বুধবার মেদিনীপুরে এই ঘোষণার পর, বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের সভায় এও স্পষ্ট করে দিলেন যে, এই বছরের (২০২২) শেষের দিকেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের কর্মী সম্মেলনে জানিয়েছেন, “মানুষের কাজ ফেলে রাখবেন না। বর্ষা আসার আগেই টেন্ডার করে দ্রুত কাজ শুরু করুন। বর্ষা এলে তিনমাস আর কাজ হবে না। তারপর, যেকোনো দিন আমি পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করে দিতে পারি! তাই তার আগেই কাজ শেষ করুন।”
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট ময়দানের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, “আমি মেদিনীপুরে আবার আসব। ৯ আগস্ট। ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে স্মরণে রেখে আমি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মাটি মেদিনীপুরে আবার আসব।” বোঝা গেল, মুখ্যমন্ত্রী নিজে জেলায় জেলায় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাবেন আগস্ট-সেপ্টেম্বর অবধি। তারপরই, যেকোনো সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। যদিও, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে বলাই বাহুল্য যে, সেখানে শাসকদলের ইচ্ছে-অনিচ্ছেই অনেকাংশে নির্ভর করে।
অন্যদিকে, মেদিনীপুরের পর ঝাড়গ্রামেও মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা এবং মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ধমকানি নয়, কাজ দিয়ে মানুষকে চমকাতে হবে।” এদিকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের পর ঝাড়গ্রামের সভাতেও মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাপতি’র নাম নেননি! ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতি তথা বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা অবশ্য মঞ্চে জায়গা পেয়েছিলেন। তবে, অন্যান্য বিধায়ক থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি (মাধবী বিশ্বাস), জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান (বীরবাহা সরেন টুডু), এমনকি ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান (কবিতা ঘোষ)-এর নাম মুখে আনলেও দেবনাথ হাঁসদা’র নাম নেননি। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের তো নাম নেওয়া দূরে থাক, মঞ্চেই জায়গা হয়নি! ‘চেয়ারম্যান’ ঘোষণা করে জেলার সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছেন বিধায়ক ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি-কে। মুখ্যমন্ত্রী এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন, নতুন জেলা সভাপতিদের (২০২১ এর ১৬ আগস্ট যাদের নাম ঘোষিত হয়েছিল) তিনি মনোনীত করেননি! আর তাই, তাঁদের নিয়ে তাঁর বিশেষ আগ্রহ নেই। বরং তিনি তাঁর পছন্দের নেতা-নেত্রীদের উপরই ভরসা রাখতে চাইছেন! সেক্ষেত্রে, পশ্চিম মেদিনীপুরে জুন-অজিত জুটি’কে তিনি যেমন প্রাধান্য দিচ্ছেন, ঠিক তেমনই ঝাড়গ্রামের ক্ষেত্রে সদ্য ওই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মানস রঞ্জন ভূঁইয়া (পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে)’র সাথে প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-কেই কাজে লাগাতে চাইছেন! এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…