দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে খড়্গপুর তৃণমূলে! খোদ ঘোষিত প্রার্থী থেকে প্রার্থী হওয়ার দাবিদার তথা বিভিন্ন ওয়ার্ডের তাবড় সব তৃণমূল নেতা ও সংগঠকরা শ’য়ে শ’য়ে কর্মীদের নিয়ে ছুটে আসছেন জেলাশহর মেদিনীপুরে অবস্থিত জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে! সম্ভবত, তাঁরা সকলেই জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে ওই সব ওয়ার্ডেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তৃণমূল প্রার্থীদের ব্যাপক বেগ দিতে চলছেন! শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি), সরস্বতী পুজোর দিন, পৌর প্রশাসক প্রদীপ সরকার ঘনিষ্ঠ ২৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা ড. তপন প্রধান সহ শতাধিক কর্মী যোগদান করেছিলেন, আর সোমবার যোগদান করলেন খোদ ২৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা দাস। তিনি জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করেছেন এবং একজন আইআইটি কর্মীর স্ত্রী। ২৮ নং ওয়ার্ডে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা, দলের প্রথম প্রার্থীতালিকায় ওই ওয়ার্ডেরই প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু, সংশোধিত তালিকায় তাঁকে ২৬ নং ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিয়ে, ২৮ নং ওয়ার্ডে অভিজ্ঞ তৃণমূল নেতা রবিশঙ্কর পান্ডে’র স্ত্রী রীতা পান্ডে-কে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে! তাই, নিজের শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে সুমিতা সোমবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি সমীর রায়ের হাত ধরে ‘হাত চিহ্ন’ হাতে তুলে নিলেন। শুধু তাই নয়, এদিন যোগদান করলেন ২ নং ওয়ার্ডে নামকরা নেতা শতদল ব্যানার্জি, প্রথম তালিকায় যাঁর প্রার্থী হিসেবে নাম ছিল, কিন্তু বাদ যায় সংশোধিত তালিকা থেকে! সর্বোপরি, এদিন, শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ২১ নং ওয়ার্ডের ডাকাবুকো তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জগদম্বা প্রসাদ গুপ্তা এবং তাঁর ভাই সত্যনারায়ণ গুপ্তা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের সংশোধিত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই জেশু নায়েক (২৭) ও কাকলি ঘোষ (১১) নামে ২ জন প্রার্থী স্বেচ্ছায় জানিয়েছিলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নই।” তবে, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না! কিন্তু, গত শনিবার ও সোমবার যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই রেল শহরের নামকরা নেতা-নেত্রী! যেমন, জগদম্বা প্রসাদ গুপ্তা, তপন প্রধান কিংবা শতদল ব্যানার্জি, সুমিতা দাস। ফলে, খড়্গপুর শহরের পৌর নির্বাচনে তৃণমূল অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল! সর্বোপরি, খোদ পৌর প্রশাসক ও চেয়ারম্যান পদের অন্যতম দাবিদার প্রদীপ সরকার যে ৬ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চলেছে, সেখানে তিনি ‘বহিরাগত’ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছিলেন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর কিছু কর্মী সমর্থক। সর্বোপরি,জেলা কংগ্রেস সভাপতি সোমবার যেভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, “আগামীকাল আরও বড় জয়েনিং হতে পারে!” তাতেও, ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে! উল্লেখ্য যে, এদিন মেদিনীপুর শহরের দুই বিজেপি নেতা, আমজাদ আলি ও মনোজ পাল এবং তৃণমূলের হকার ইউনিয়নের এক নেতা লক্ষ্মীকান্ত গৈরি-ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। সবমিলিয়ে এদিন, প্রায় ৩৫০-৪০০ জন কংগ্রেসে যোগদান করলো বলে জানা গেছে। বিজেপি ও তৃণমূল ছেড়ে আসা কর্মীদের অভিযোগ, দল তাঁদেরকে গুরুত্বহীন মনে করে! তাঁদের বক্তব্য, “ওই দলে থেকে অসম্মানিত হওয়ার থেকে দল ছেড়ে দেওয়া অনেক ভালো। কংগ্রেসে কাজ করার সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে তাই কংগ্রেসে যোগ দিলাম।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি সমীর রায় বলেন, “তৃণমূলের থেকে অসম্মানিত বোধ করায়, এবার দলে দলে নেতা-কর্মীরা তৃণমূল ত্যাগ করতে শুরু করেছে। আমাদের আশা আগামী দিনে আরও মানুষ তৃণমূল ছেড়ে ফিরে আসবেন কংগ্রেসে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…