দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নির্দল বা গোঁজ প্রার্থী দিয়ে দলকেই বিপদে ফেলার চেষ্টা! বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও প্রার্থী তোলা হয়নি। অবশেষে, দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ১৫ জন ‘বিক্ষুব্ধ প্রার্থী’ (নির্দল, কংগ্রেস, সিপিআই থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা) সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোট ২০ জন নেতা-নেত্রী’কে বহিষ্কার করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পদ হারাতে হল, খড়্গপুর শহর তৃণমূলের যুব সভাপতি অসিত পাল (ছোটকা) এবং ক্ষীরপাই শহর তৃণমূল কংগ্রেসের ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মনোজ হালদার-কে। অন্যদিকে, বহিষ্কৃত ২০ জন নেতা-নেত্রীর মধ্যে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের নেতা-নেত্রী ১৬ জন এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার মাত্র ৪ জন। বুধবার দুপুরে জেলাশহর মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাগৃহ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই তথ্য তুলে ধরলেন পৌরসভা নির্বাচনের দুই কো-অর্ডিনেটর যথাক্রমে- মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া ও বিধায়ক অজিত মাইতি। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও দুই চেয়ারম্যান যথাক্রমে- সুজয় হাজরা, আশিস হুদাইত, দীনেন রায় (বিধায়ক ও এমকেডিএ চেয়ারম্যান), অমল পন্ডা এবং রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ (প্রাক্তন বিধায়ক)।

thebengalpost.net
সাংবাদিক বৈঠক জেলা তৃণমূলের:

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন):

বহিষ্কৃত নেতা-নেত্রীদের মধ্যে, খড়্গপুর পৌরসভার প্রার্থী ও নেতারা হলেন যথাক্রমে- রিনা শেঠ (১৭ নং ওয়ার্ড), জগদম্বা গুপ্তা (২১ নং ওয়ার্ড), তপন প্রধান (২৪ নং ওয়ার্ড), সুমিতা দাস (২৮ নং ওয়ার্ড), জয়া পাল (৩৫ নং ওয়ার্ড)। এর মধ্যে, তপন, জগদম্বা, সুমিতা- রা তৃণমূল ছেড়েই কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। রিনা শেঠও একইভাবে সিপিআই প্রার্থী হয়েছেন। তবে, জহর পালের বৌমা জয়া পাল ‘নির্দল’ হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন ৩৫ নং ওয়ার্ডে। তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে। অন্যদিকে, ওই পরিবারেরই সদস্য জহর পালের ছেলে অসিত পাল (ছোটকা)-কে শহর যুব সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদিও, অসিত নিজেই এই নিয়ে জানিয়েছেন, “আমার বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ নেই। আমি ৩৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী, আমার বাবা তথা জহর পালের প্রচারে ব্যস্ত। হয়তো বয়স ৪০ পেরিয়ে যাওয়ার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” তবে, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জহর পাল যেহেতু ৩৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী, তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। তিনি নিজেও জানিয়েছিলেন, “যিনি নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা!” সেজন্যই, দলের তরফে ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়া সত্ত্বেও, এযাত্রায় ছাড় পেলেন প্রবীণ নেতা জহর পাল! এমনটাই মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে।

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

অন্যদিকে, মেদিনীপুর পৌরসভার যাঁরা বহিষ্কৃত হলেন, তাঁরা যথাক্রমে- সৌরভ বিষই (১১ নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী); ডাঃ এরশাদ আলি (১৩ নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী); বিশ্বেশ্বর নায়েক এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা রায় নায়েক (১৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী); সোমা মাইতি (২০ নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী) ও তাঁর শ্বশুর মশাই হিমাংশু মাইতি; কংগ্রেস প্রার্থী অঞ্জলি চৌধুরী ও স্বামী স্বপন চৌধুরী; নির্দল প্রার্থী অঞ্জনা রায় এবং নির্দল প্রার্থী মানস দাস। এছাড়াও, শহর তৃণমূলের সঞ্জিত আন্ডিয়া ও তাপস দে-কে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ ও ৮ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সুমন মুখার্জি’র নাম তালিকায় না থাকলেও, তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার ক্ষীরপাই পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সুনিতী হালদার ও তাঁর ছেলে মনোজ হালদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব থেকেও সরানো হয়েছে মনোজকে। এছাড়াও, যথাক্রমে চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী ওসমান গেনি এবং রামজীবনপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী অসিত সরকার-কেও বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ।

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন):

thebengalpost.net
Advertisement (বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :