দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ এপ্রিল:প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমান সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-কে পাশে বসিয়ে বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যতই বলুন না কেন ‘মতবিরোধ’ নেই! শেষ পর্যন্ত মতপার্থক্য-ই পরিষ্কার হয়ে উঠলো। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলে ফের ‘মাওবাদী আতঙ্ক’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, আর সেই ইস্যুতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে বসে দিলীপ-সুকান্ত ‘দ্বিমত’ প্রকাশ করলেন। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শহর মেদিনীপুরের পার্টি অফিসে দিলীপ ঘোষ-কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার বললেন, “রাজ্যে মাওবাদী সমস্যা বাড়ছে। আসলে অনুন্নয়ন, কর্মসংস্থান হীনতা, চাকরিতে দুর্নীতির জন্যই বাড়ছে মাওবাদী সমস্যা! তাই, মুখ্যমন্ত্রী যতই বিজনেস সামিট করুন না কেন, এরাজ্যের ৪০-৫০ লক্ষ বেকার যুবক পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন!”

thebengalpost.net
মেদিনীপুরে দিলীপ-সুকান্ত :

অন্যদিকে, রবিবার সকালে খড়্গপুরে বসে মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, “এরাজ্যে মাওবাদী বলে কোন সমস্যা নেই। সব ঠাণ্ডা আছে। শুধু কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ধান্দা! তাই, এসমস্ত মাওবাদী আতঙ্ক দেখানো হচ্ছে।” এভাবেই, জ্বলন্ত মাওবাদী ইস্যুতে দুই মেরুতে অবস্থান করলেন দিলীপ-সুকান্ত! পরোক্ষে কিছুটা দিলীপ-কেই সমর্থন করে, রাজ্যে উন্নয়নের প্রশ্নে দু’জনকেই আক্রমণ করলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁর মতে, “দিলীপ বাবু অন্তত মাওবাদী ইস্যুতে কিছুটা ঠিক বলেছেন! সত্যিই দিদির উন্নয়নের জোয়ারে মাওবাদীরা আজ মূলস্রোতে। জঙ্গলমহলের রাস্তাঘাট, পানীয় জল, আর্থিক সুরক্ষার- প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। তাই এখানে বিরোধীরাই লাল কালিতে পোস্টার লিখে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। আর, শুধু মাওবাদী ইস্যু নয়, বিভিন্ন বিষয়েই তো বিজেপি-তে মতপার্থক্য! সে দিলীপ ঘোষ-তথাগত রায় কিংবা সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রের বিভিন্ন রিপোর্টি বলছে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দেশে এক নম্বর।” অপরদিকে, উত্তরপ্রদেশের গণহত্যা প্রসঙ্গে দিলীপ-সুকান্ত দু’জনকেই আক্রমণ করে সুজয় জানিয়েছেন, “উত্তরপ্রদেশ ধর্ষণের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দলিত হত্যা, খুন সেখানে নিয়মিত ঘটনা! আর, এখানে বগটুই কান্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।‌ রাজনৈতিক রঙ না দেখে উপযুক্ত শাস্তির বিধান দিয়েছেন। ওনাকে দেখে শিখুক যোগী রাজ্য।”

thebengalpost.net
তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা :