দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জুন: মাত্র ২ দিন আগেই মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক আশিস সেনগুপ্ত ওরফে বাবলা’কে। অভিযোগের তীর প্রদীপ সরকার ঘনিষ্ঠ যুব নেতা হায়দার আলী খান (মানটা) ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে! যদিও, তাদের তরফে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বাবলা’র বিরুদ্ধে। এই বিতর্কের মধ্যেই, বুধবার “খড়্গপুর সদর ইয়ুথ পলিটিক্স” (Kharagpur Sadar Youth Politics) নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এইভাবে- “গত বিধানসভা নির্বাচনে যে সমস্ত নেতারা দলের পতাকা নিয়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন, দিদিকে হারানোর জন্য, তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে দল ছেড়ে তারা বিজেপিতে চলে যাক। নাহলে খড়্গপুর শহর যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ভাবে প্রতিবাদ চলবে!” আর, এই পোস্টের পরই ফের শহরের শাসকদলের নেতাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন, বাবলার পর তাহলে নিশানায় (টার্গেট) কে!
এদিকে, সামনেই পুর-নির্বাচনের আগে এভাবে প্রকাশ্যে হুমকি পোস্ট ঘিরে জেলার নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে, বিরোধীরা বলছেন বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ওয়ার্ডে যথাক্রমে ২ হাজার ও ১ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন- দেবাশীষ চৌধুরী (মুনমুন) ও রবিশঙ্কর পান্ডে। তাঁদেকেই কি নিশানা করা হচ্ছে? কারণ, ওই পেজটি প্রদীপ সরকারের ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা চালায় বলে জানা গেছে! এই বিষয়ে খড়্গপুর শহর যুব তৃণমূল সভাপতি অসিত পাল’কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানিয়েছেন, “জানিনা কে বা কারা এই পোস্ট করেছে! আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে, বাবলার ঘটনায় আমাদের দলের যুব কর্মীরাই নিগৃহীত হয়েছে। আর, দলবিরোধীদের তো দল শাস্তি দেবে, আমরা শাস্তি দেওয়ার কে! যুব কর্মীদের দিকে যারা আঙুল তুলছেন সেটা ঠিক নয়।” অসিত যাই বলুন না কেন, সামনের পুর-নির্বাচনের আগে যে কিছু নেতাকে বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার জন্য চরম সতর্কবার্তা দেওয়া হল পৌর-প্রশাসকের অনুগামীদের পক্ষ থেকে, তা মানছেন শাসকদলেরই একাংশ!