দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ শে জুলাই: আজকের দিনটিকে (২১ শে জুলাই) “শহিদ দিবস” হিসেবে পালন করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসে থাকাকালীনই তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দিনটি পালন করতেন। বর্তমানে, নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করার পর গুরুত্ব ও পরিধি আরও বেড়েছে! এদিকে, তৃণমূলের সেই শহিদ দিবসেই জোড়া পাঁঠার বলি দিয়ে “ভোজ সভা”র আয়োজন করে বিতর্কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ডাকাবুকো নেতা শঙ্কর দোলই ও তাঁর অনুগামী কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক। “শহিদ দিবস” মানে শ্রদ্ধা, আবেগ, সজন হারানোর মর্মবেদনা। কিন্তু, সেরকম একটি দিনেই এই ধরনের দৃশ্য দেখে তাজ্জব ঘাটালের মানুষ! যদিও শঙ্করের সাফাই, “মা কালির কাছে মানত করেছিলেন এলাকাবাসী। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, তাই মানত পরিশোধ করা হলো!”
উল্লেখ্য যে, ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শংকর দোলই ও তাঁর অনুগামীরা ঢাক ঢোল বাজিয়ে দিনটি এভাবে উদযাপন করেন বলে তৃণমূলেরই একাংশের অভিযোগ। ঘাটালের বলরামপুর আনন্দপুর মৌজায় এই ঘটনাটি ঘটে। পাঁঠা বলি’র আগে স্লোগানও দেওয়া হয়, “মা মাটি মানুষ জিন্দাবাদ, মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, তৃণমূল জিন্দাবাদ, শংকর দোলই জিন্দাবাদ!” হাতে তৃণমূলের পতাকা, সামনে বলি দানের দুই পাঁঠাকে মালা পরিয়ে মিছিলও চলেলো দুই আড়াই কিমি পথ ধরে। সঙ্গে নাচ গানও চলে বলে অভিযোগ। মন্দিরের সামনে বলির স্থানে ঢাক বাজানো সহ বক্তৃতা করলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা হেরে যাওয়া এম এল এ প্রার্থী শংকর দোলই। তাঁর ঢাকের তালে তালে নাচলেন কর্মীরা! এমন কান্ড দেখে মানুষ তাজ্জব! একজন শিক্ষক বলেন, “এটা আমার বাংলা নয়। সুকান্ত, রবীন্দ্রনাথ নজরুলের বাংলা সরিয়ে হাজির করা হয়েছে রজনীশের সিস্টেম। নিজেকে গুরু জাহির করে মানুষের দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা, নিকট আত্মীয়র মৃত্যুর শোক ভুলিয়ে রাখতে রজনীশ তার শিষ্যদের এমনই ঢাক ঢোল পিটিয়ে উল্লাসের বার্তা দিতেন।” যদিও প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দোলুই জানালেন, “শহীদদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য এলাকাবাসী যে মানত করেছিলেন, তা পরিশোধ করা হলো।”