দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ ফেব্রুয়ারি: প্রার্থী অসন্তোষ এবার বিজেপিতেও! রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের অশান্তির আশঙ্কা করেই মধ্যরাতে বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল। তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না বিক্ষোভ! গভীর রাতেই ভাঙচুর চালানো হল প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখার্জি’র বাড়িতে। ঘটনাটি রেলশহর খড়্গপুরের ২৩ নং ওয়ার্ডের। মহিলা (সাধারণ) সংরক্ষিত এই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে পিঙ্কি পাত্র-কে। সূত্রের খবর যে, এখানে নিজের স্ত্রী-কে প্রার্থী করার জন্য দলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই ওয়ার্ডের শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ সৌমেন দাস (বিলু) নামে এক কর্মী। মঙ্গলবার সকালে তুষার মুখার্জির অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে ইঁট বৃষ্টি করা হয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িটিও। এই কাজ করা হয়েছে ওই সৌমেন দাস ওরফে বিলু’র নেতৃত্বে। এরপর, রাতেই খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ পৌঁছয়। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিজেপি কর্মী।

thebengalpost.net
ভাঙচুর:

প্রসঙ্গত, সৌমেন দাস হিরণ গোষ্ঠীর নেতা বলে তুষার মুখার্জি’র অনুগামীদের দাবি। সৌমেন ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিজের নাম প্রস্তাব করেছিল রাজ্য নেতা তুষারের কাছে। এমনকি, প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে তুষারের দাবি। তুষার বলেছেন, “আমি সেই সময়ই জানিয়ে দিয়েছিলাম, টিকিট দেওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা আমার হাতে নেই। রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে। কিন্তু, তার পরিণাম যে এরকম হবে ভাবতে পারিনি।” অভিযোগ, রাত্রি বারোটা নাগাদ হামলা চালানো হয় তুষার মুখার্জির বাড়িতে। তুষারের অভিযোগ, “প্রথমে আমরা সরস্বতী পূজোর বিসর্জন ভেবেছিলাম। তারপর, যখন বাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে তখন বুঝতে পারি। জানালার কাছে এসে শুনতে পাই, বিলুর বউকে টিকিট দেওয়া হয়নি কেন? ওকেই টিকিট দিতে হবে। এইসব। পরে জানতে পারি, বিলু মানে ওই বিজেপি কর্মী সৌমেন দাস।” যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে সৌমেন দাস জানিয়েছেন, “এটা ঠিক আমি টিকিট পাওয়ার দাবিদার ছিলাম। কিন্তু, এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। এইসব আমি কোনদিনই করিনি। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই চূড়ান্ত! আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।”

thebengalpost.net
রাজ্য নেতা তুষার মুখার্জি :