মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ অক্টোবর: চতুর্থী অর্থাৎ ৭ অক্টোবর থেকে দ্বাদশী অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলির মতোই মেদিনীপুর, খড়্গপুর ও ঘাটাল শহরে যানজট রুখতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিকেল ৩টা থেকে রাত্রি ৩টা অবধি বাস, ট্রাক, টোটো, অটো, চারচাকার মতো ভারী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে জেলা শহর মেদিনীপুরে। সেক্ষেত্রে পুজোর এই ৮ দিন মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় বিকেল ৩টা থেকে ভোর ৩টা অবধি টোটো, অটো কিংবা প্রাইভেট কারও চলাচল করবে না! বাকি ১২ ঘন্টা অবশ্য চলাচল করতে পারবে। অপরদিকে, খড়্গপুর শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ পঞ্চমী থেকে দ্বাদশী অবধি ৭দিন। বিকেল ৪টা থেকে রাত্রি ২টো অবধি যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে নিজের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের ‘দুর্গাপূজা গাইডম্যাপ-২০২৪’ প্রকাশ করে ঠিক এমনটাই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
তিনি এও জানান, পুজোর ক’দিন গ্রিন করিডর বা গ্রিন চ্যানেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে 112 কিংবা জেলা পুলিশের হেল্পলাইন অথবা জেলা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগে থেকেই বিষয়টি জানাতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক), ডিএসপি (ট্রাফিক) কিংবা কোতোয়ালী থানার আইসি’র মতো পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। একইসঙ্গে, পথ নিরাপত্তা সম্পর্কেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন এসপি। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো, রাফ বাইকিং বা স্পিড বাইকিং বা বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানো, ট্রিপল বাইকিং বা বাইকে তিন জন চেপে সওয়ার হওয়া অথবা মদ্যপান করে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাইলেন্সর খুলে বাইক চালালেও ট্রাফিক পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন SP।
এছাড়াও, শব্দবাজি ব্যবহার বা ব্যবসার ক্ষেত্রে যথারীতি নিষেধাজ্ঞা থাকছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ইতিমধ্যেই একটি বাজি ভর্তি পিকাপ ভ্যান আটক করা হয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। জেলাবাসীকে গ্রিন ক্র্যাকারস বা সবুজ বাজি বা পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। সেই সঙ্গে জেলাবাসীকে পুজোর শুভেচ্ছা ও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের তরফে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকলেও, সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সচেতন ও নিরাপদে পুজো কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের SP ধৃতিমান সরকার।