দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ আগস্ট: বিভিন্ন সময়ে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অসহায়তার অভিযোগ ওঠে! কিন্তু, সেই সমাজরক্ষক পুলিশ-ই কখনও কখনও হয়ে ওঠেন মানবিকতার মূর্ত প্রতীক। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন (রবিবার), পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার ভাদুতলা’তে সেরকমই এক ঘটনা ঘটলো। শালবনী থানার পুলিশ কর্মীদের মানবিকতায় মুগ্ধ হলেন এলাকাবাসী! রবিবার বিকেলে চন্দ্রকোনা রোড থেকে মেদিনীপুর গামী একটি বাস থেকে ভাদুতলা স্টপেজে নামেন ষাটোর্ধ্ব এক মহিলা। নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর, ভাদুতলার ব্যস্ততম তিনমাথার মোড়ে নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা শালবনী থানার এস আই মুরারী মনোহর দাস এই দৃশ্য দেখেই ছুটে যান! তাঁর সঙ্গে যান অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও। এরপর ওই মহিলা’কে প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুটা সুস্থ করা হয়। তারপর পুলিশের গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
বাস থেকে নেমেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ওই প্রৌঢ়া-কে ভাদুতলাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। তারপর জ্ঞান ফিরলে, প্রথমেই কিছু বলতে পারেন না তিনি। কিছুটা সুস্থ হলে, ওই মহিলা জানান যে, তাঁর নাম সন্ধ্যা দাস (বয়স ৬২)। তিনি চন্দ্রকোনা রোড থেকে আসছিলেন, যাবেন শালবনী ব্লকের মৌপাল গ্রামে মেয়ের বাড়িতে! এরপর, ভাদুতলা থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে মৌপাল গ্রামে খবর পাঠানো হয়। কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও কেউ না আসায়, শালবনী থানার আইসি গোপাল বিশ্বাসের পরামর্শে পুলিশের গাড়িতে করেই এস আই মুরারী মনোহর দাস ওই প্রৌঢ়া’কে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। ততক্ষণে অবশ্য মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে যান সন্ধ্যা দেবী’র মেয়ে ও জামাই। তাঁরা শালবনী থানার পুলিশ কর্মীদের অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন! প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেভাবে সহমর্মিতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন এস আই মুরারী মনোহর দাস এবং দায়িত্বে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা, তাতে মুগ্ধ সমগ্র এলাকাবাসীও।