দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ এপ্রিল:থানার বড় বাবুর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। তার সঙ্গে অবশ্যই খাস লোক! আর, তাতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তোলাবাজি করে, প্রায় কোটি টাকা কামানোর অভিযোগ বছর ৩০ এর যুবকের বিরুদ্ধে! গত এক মাস ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল গুড়গুড়িপাল থানা তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। অবশেষে, ‘গুণধর’কে পুরী (ওড়িশা) থেকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশের নেতৃত্বে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। তার নাম বাপ্পা বেজ। বাড়ি জঙ্গলমহলের গোয়ালতোড়ে। তার বিরুদ্ধে গোয়ালতোড় থেকে পিংলা, পিংলা থেকে গুড়গুড়িপাল- বিভিন্ন এলাকায় তোলাবাজি ও হুমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ আছে। সবমিলিয়ে অঙ্কটা প্রায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে জেলা পুলিশ সূত্রে। ধৃতকে শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে, ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
জানা গেছে, একসময় গোয়ালতোড় থানার মেজ বাবু (সেকেন্ড অফিসার) হিসেবে কর্মরত এক সাব ইন্সপেক্টর পরে বড় বাবু (ওসি/Officer in Charge) হয়ে যথাক্রমে পিংলা ও গুড়গুড়িপাল থানায় দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ‘খাস লোক’ হয়ে তাঁর সঙ্গেই যান বাপ্পাও। ইতিমধ্যে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বালি খাদানের মালিক, ট্রাকের চালক ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা হুমকি দিয়ে তোলার অভিযোগ করেন। তবে, বড় বাবুর খাস লোক হওয়ায় যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে তাঁরা ভয় পাচ্ছিলেন! এরপর, গত মাস দেড়েক আগে গুড়গুড়িপাল থানার ওই ওসি-কে দুর্নীতির একটি মামলায় ক্লোজ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তও চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে, গুড়গুড়িপাল থানায় নতুন ওসি (শুভঙ্কর রায়) যোগ দেন। তারপরই, গত এক মাস আগে বাপ্পার বিরুদ্ধে গুড়গুড়িপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অবশেষে, মাস খানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাতে পুরী থেকে গ্রেফতার করা হয় বাপ্পা বেজ-কে। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে, পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন মেদিনীপুর আদালতের বিচারক।