দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ জুন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের মাদুর কিংবা পিংলা’র পট জগৎ সভায় প্রশংসিত। পৃথিবী জুড়ে এর চাহিদা। ডেবরা, সবং, পিংলা সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তের এই হস্ত শিল্পীদের এবার আর্থিকভাবে কিছুটা স্বনির্ভর করে তুলতে, জেলা পুলিশের উদ্যোগ- ‘শিল্প কুটির’। প্রাথমিকভাবে তা শুরু হয়েছে, জেলা শহর মেদিনীপুরে অবস্থিত ‘পুলিশ লাইন’ (Police Line) চত্বরে। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, “ডেবরা, সবং, পিংলা এলাকার পট চিত্র বা বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের চাহিদা আছে। অপরদিকে, শিল্পীদেরও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তাই, মেদিনীপুরের এই পুলিশ লাইনে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শিল্প কুটির’। আপাতত, এই শিল্প কুটির থেকে এই ধরনের জিনিসপত্র কিনতে পারবেন পুলিশ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এর সঙ্গে আমরা সাংবাদিকদেরও যুক্ত করছি। আপনারাও এখান থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন। ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষও যাতে কেনাকাটা করতে পারেন, সেজন্য এই ধরনের স্টল তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।” তিনি এও জানিয়েছেন, শিল্পীদের কাছ থেকে সরাসরি জিনিসপত্র কিনে নিয়ে, এখানে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে, শিল্পীরা কিছুটা হলেও আর্থিক ভাবে উপকৃত হবেন বলে তাঁর মত।
অন্যদিকে, জেলা জুড়ে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। জেলা পুলিশ সুপারের মতে, “জেলায় এত খুনখারাবি হয়নি, যতটা আত্মহত্যা হচ্ছে। এটা খুবই দুশ্চিন্তার যে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে! তাই, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মানসিক অবসাদে ভোগা সাধারণ মানুষকে উপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।” তাঁর মতে, এই ধরনের মানুষকে চিহ্নিত করা হবে এবং তাঁদের সাথে কথা বলে, তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করা হবে। তারপর, বিশেষজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সিলরদের সাহায্য নেওয়া হবে। আর, এই পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করা হবে বিভিন্ন NGO এর মাধ্যমে। ইতিমধ্যে, বেশ কয়েকটি এনজিও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, “এই ব্যস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোচন’। হতাশ হয়ে যাওয়া মানুষকে আশার আলো দেখানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও’র সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে, যাতে সফলভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।”