দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ জুন: জেলার সকল সাংবাদিকদের কাছে মন খারাপ করা সংবাদটা এসে পৌঁছল আজ (সোমবার) দুপুর নাগাদ! শোকস্তব্ধ প্রত্যেকেই। তাঁদের প্রিয় মৃণাল দা পাড়ি দিয়েছেন নাম না জানার দেশে! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অভিজ্ঞ কর্মী মৃণাল সামন্ত তথা সকল সাংবাদিকদের প্রিয় মৃণাল দা কোভিড পরবর্তী বিপজ্জনক উপসর্গেরই শিকার হলেন! সোমবার ভোরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ই মে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে মৃণাল বাবু’র। এরপর, শহরের নামকরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে প্রায় ২০ দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হন। দিন সাতেক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। এই সময়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে জেলার অনেক সাংবাদিকের সাথেই ফোনে কথা বলেছিলেন বলে জানা গেছে। এরপর, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎ করেই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়! সঙ্গে সঙ্গে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, অ্যাম্বুল্যান্সে করে কিছুদূর রওনা দিলেও, ফিরিয়ে নিয়ে এসে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার ভোর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মৃণাল সামন্ত! বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। সকলের প্রিয় মৃণাল দা’র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ জেলার সাংবাদিক মহল, তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সকল কর্মী থেকে স্বয়ং আধিকারিক অনন্যা মজুমদার। শোকে মুহ্যমান তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমি ভাষা হারিয়েছি! অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।”
জেলার সকল সাংবাদিকদের মুখে এখন একটাই কথা, “মৃণাল দা নেই? এও কি সম্ভব!” অনেকের মনেই প্রশ্ন, মৃণাল বাবু কি ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন? যেটুকু জানা গেছে, তিনি ভ্যাকসিন নেননি, তবে করোনা আক্রান্ত না হলে ওই সময়ই ভ্যাকসিন নিতেন হয়তো! দপ্তরের এক কর্মী জানিয়েছেন, “আমরা যখন ভ্যাকসিন নিয়েছিলাম, সেই সময় উনি ভ্যাকসিন নেননি।” তবে কি ভ্যাকসিন না নেওয়াটাই কাল হল মৃণাল বাবু’র জন্য? রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানালেন, “অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর! এটা পোস্ট কোভিড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা তৈরি হয়! আর, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে সবকিছু দিক দিয়েই অনেকটা বিপদমুক্ত হওয়া যায়। আমরাও যেটুকু জানতে পেরেছি, উনি ভ্যাকসিন নেননি! নেওয়া থাকলে হয়তোবা বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হতো।” জানা গেছে, প্রশাসনিক সকল নিয়ম মেনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। রেখে গেলেন স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…