দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, সুদীপ্তা ঘোষ, ১ জুন: অচিরেই থেমে গেলো কেকে কণ্ঠ! আর কেউ মঞ্চ থেকে গাইবেন না- “যারা সি দিল মে দে জাগা তু”, “জিন্দেগী দো পালকি ইন্তেজার” কিংবা “হাম রয়ে ইয়া না রহে কাল”! মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই (১৯৬৮-২০২২) থেমে গেল সঙ্গীতের বরপুত্র কেকে অর্থাৎ কৃষ্ণকুমার কুন্নথের (Krishnakumar Kunnath) সঙ্গীতের যাত্রাপথ। মঙ্গলবার (৩১ মে), কলকাতার নজরুল মঞ্চে তিনি জীবনের শেষ স্টেজ পারফরমেন্স করেন। গাইলেন জীবনের শেষ গান “হম রয়ে ইয়া না রহে কাল…”! সেই শোয়ের একেবারে শেষ লগ্নে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি! সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার সিএমআরআই (CMRI) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন!

thebengalpost.net
কেকে :

একাধিক হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কানাডা, মালায়ালাম, মারাঠি, বাংলা, অসমীয়া, গুজরাটি ভাষায় গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কেকে। তাঁর বলিউডে অভিষেক হয় ১৯৯৯ সালে “হাম দিল দে চুকে সনম” ছবির “তাড়াপ তাড়াপ কে ইস দিলনে” গানটির মাধ্যমে। যেটি প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয় হয়েছিল এবং আজও শ্রোতাদের মনে জায়গা করে আছে সেই গানটি। যদিও ১৯৯৬ সালে “মাচিস” ছবিটিতে তিনি একটি গানের ক্ষুদ্র অংশ গেয়েছিলেন। এরপর এক এক করে “জান্নাত”, “বাচনা এ হাসিনো”, “ওম শান্তি ওম”, ” রেহনা হ্যা তেরে দিল মে” ইত্যাদি ছবিতে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এমনকি বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং ২০০৫ সালের যে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা “ফেম গুরুকুল” এ অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেই প্রতিযোগিতার জুরি মেম্বার ছিলেন কেকে। তিনি না থাকলেও (হম রহে ইয়া না রহে কাল), তাঁর গানের মাধ্যমেই শ্রোতাদের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন (যারা সি দিল মে দে জাগা তু) কেকে। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে (জিন্দেগী দো পালকি ইন্তেজার) সঙ্গীত জগৎ এবং সমগ্র শিল্প জগৎ শোকস্তব্ধ!