দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর: দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে সোমবার সকাল থেকেই প্লাবিত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্লাবিত হয়েছে কেশপুর ব্লকের বেশ কিছু গ্রামও। সোমবার সকাল থেকেই আকমুড়া, হাজীচক, কলাগ্রাম প্রভৃতি এলাকা জলমগ্ন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০০-৪০০ বিঘা জমি জলের তলায় চলে গেছে। বিভিন্ন রাস্তাতেও এক হাঁটু কিংবা এক গলা জল। সমস্যায় প্রায় ৬-৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কার্যত গৃহবন্দী গ্রামবাসীরা। সোমবার দুপুর নাগাদ কেশপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে পৌঁছন সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেশপুর ব্লকের হাজীচক ও কলাগ্রাম এলাকায় পৌঁছন দেব। এলাকার অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কথা বলেন এলাকাবাসীদের সঙ্গেও।
এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে আমরা আছি। তাঁদের কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাধিক ত্রাণ শিবির (ফ্লাড সেন্টার) করা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল, ওষুধ, এন্টিভেনাম (সাপে কামড়ালে) সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” আরজিকর ইস্যুতে দেব এদিন কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও, তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “চিকিৎসকদের দাবিগুলি নিশ্চয় ন্যায্য। রাজ্য সরকারের (মুখ্যমন্ত্রীর) সেগুলি মেনে নেওয়া উচিত। ঠিক তেমনি জুনিয়র চিকিৎসকদেরও এবার কাজে ফেলা উচিত। কারণ অসুবিধায় পড়ছেন অসহায়-দরিদ্র মানুষজন। এটা একেবারে ঠিক যে, সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকেরা ছাড়া মেডিক্যাল কলেজগুলি প্রায় অচল!”
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতৃ শিলাবতী নদীর জল বেড়ে গিয়ে আবারও প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকা। জলে ডুবেছে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকা। নৌকো ও ডিঙ্গি করে চলছে যাতায়াত। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের আড়গোড়া চাতাল এলাকায় রাজ্য সড়কের উপর হাঁটু জল! অন্যদিকে, ঘাটাল পৌরসভার ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ওয়ার্ড কার্যত জলের তলায়। নৌকো ও ডিঙ্গি করে চলছে যাতায়াত। সোমবার দুপুরে ঘাটালের বন্যাকবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করার পর, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচ দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী সহ মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস এবং মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টির জেরে ঘাটালের শিলাবতী, চন্দ্রকোনার কেঠিয়া, মনশুখারর ঝুমি নদীর জল প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন তাই জরুরী বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “জল এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। উদ্ধারকারী দল, বালির বস্তা, পর্যাপ্ত জলের পাউচ সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপশি মহাকুমা প্রশাসন যে প্রস্তুত রয়েছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানানো হলেও, বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতির যে ‘অবনতি’ হতে পারে; সেই আশঙ্কাও করা হচ্ছে!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…