দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ অক্টোবর: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শপথ গ্রহণ থেকে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি নির্বাচনের কাজ আগেই (১৪ আগস্ট) সম্পন্ন হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠনের কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই হিসেবে পরবর্তী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসন নির্ধারিত কোনো একটি দিনে ৯টি স্থায়ী সমিতির জন্য ৯ জন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি! সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ৬ অক্টোবর ৯টি স্থায়ী সমিতির মধ্যে ৬টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা নির্বাচিত হতে পারেন। এমনকি, ৩টি স্থায়ী সমিতি পুনর্গঠিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা! সেক্ষেত্রে ওই স্থায়ী সমিতিগুলিতে ইতিমধ্যে জায়গা পাওয়া সদস্যদের (প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতে ৫ জন সদস্য আছেন) ইস্তফাও দিতে হবে। আর, এই পুরোটাই নাকি হতে চলেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে। তবে কি দলের অন্দরে কোনো ক্ষোভ কিংবা বিশেষ কোন মহলের চাপেই এমনটা হতে চলেছে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠিত হওয়ার পর দেখা যায়, কোনো কোনো জেলা পরিষদের সদস্য বা সদস্যা একাধিক স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন; আবার দলের বর্ষীয়ান কিংবা দীর্ঘদিনের লড়াকু সৈনিকরা কোন স্থায়ী সমিতিতেই জায়গা পাননি! এমনকি, দলেরই বিক্ষুব্ধ একটি অংশের মতে, শীর্ষ নেতৃত্ব ওই দিনই (২০ সেপ্টেম্বর সকালে) ৯টি স্থায়ী সমিতির জন্য ৯ জন কর্মাধ্যক্ষের নামও ‘চূড়ান্ত’ করে (বা, সিলমোহর দিয়ে) পাঠিয়ে দিয়েছিল! আর, তারপরই নাকি দলের অন্দরে গোল বাঁধে। জানা যায়, শীর্ষ নেতৃত্ব যে তালিকা (বা মনোনয়ন) পাঠিয়েছিল, তাতে ৯ জন কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে ৮ জনই ‘নতুন মুখ’! পুরানোদের মধ্যে ১ জনের নামেই নাকি সিলমোহর পড়েছিল। অথচ, বিগত বোর্ডের ৫ জন কর্মাধ্যক্ষ এবারও জয়ী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিভা রানি মাইতি অবশ্য সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৪ জনের মধ্যে বিদায়ী বোর্ডের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ ২টি স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পান এবং পুনরায় তাঁর পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার পক্ষে শীর্ষ নেতৃত্ব মত দিয়েছিল বলে জানা যায়। প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামনি মান্ডি-কে দল উপাধ্যক্ষ হিসেবে ‘মনোনীত’ করে। বিদায়ী বোর্ডের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ চন্দন সাহাকে কেবল বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতিতে জায়গা দেওয়া হয়; তবে ওই স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দল মোহনপুরের জেলা পরিষদ সদস্য তপন কুমার প্রধানের নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দেয় বলে সূত্রের খবর। অপরদিকে, বিদায়ী বোর্ডের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (তার আগের বোর্ডের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ) শ্যামপদ পাত্রের কোন স্থায়ী সমিতিতেই জায়গা হয়নি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন মহল থেকে স্থায়ী সমিতির ‘সম্ভাব্য’ কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিভিন্ন মতামত পৌঁছে যায়। সর্বোপরি, দলের প্রবীণ সদস্য তথা বিদায়ী বোর্ডের কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ-কে এবার ‘জায়গা’ না দেওয়ায় নিয়েও ক্ষোভ জন্মায় বিভিন্ন মহলে। তারপরই নাকি নড়েচড়ে বসে শীর্ষ নেতৃত্ব তথা দলের রাজ্য নেতৃত্ব। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি; ক্ষুদ্র শিল্প ও বিদ্যুৎ এবং শিশু ও নারী উন্নয়ন স্থায়ী সমিতির সদস্যদের আগামী ৬ অক্টোবর ইস্তফা দিতে হতে পারে! জানা যায়, দলের তরফে ওই ৩টি স্থায়ী সমিতির জন্য যথাক্রমে- ডেবরার জেলা পরিষদ সদস্যা শান্তি টুড, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক ও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য শঙ্কর দোলই এবং কেশিয়াড়ির জেলা পরিষদ সদস্যা কল্পনা সিটের নামে ‘কর্মাধ্যক্ষ’ হিসেবে সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল। তবে, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে, স্থায়ী সমিতির কিছু রদবদলের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত নাকি শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হতে চলেছেন দাসপুর দীর্ঘদিনের জেলা পরিষদ সদস্য শ্যামপদ পাত্র। তার আগে তাঁকে ওই স্থায়ী সমিতির সদস্য করা হবে। একইভাবে, ক্ষুদ্র শিল্প ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ হতে চলেছেন গোয়ালতোড়ের চন্দন কুমার সাহা। শিক্ষার পরিবর্তে নারী ও শিশু উন্নয়ন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন শান্তি টুডু। কল্পনা শিট ও শঙ্কর দোলই-কে দল সাংগঠনিক আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুনর্বাসন দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। দলের জেলা নেতৃত্বের তরফেও পরোক্ষে এই বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, “আমাদের কয়েকজন জেলা পরিষদ সদস্য একাধিক স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন, সেজন্য আরও কয়েকজনকে জায়গা দেওয়া যায়নি। এই বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আনার পরই ৩টি স্থায়ী সমিতির রদবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি ৬টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা নির্বাচিত হবেন যথারীতি নির্ধারিত দিনে (৬ অক্টোবর)।” আগামী ৫ অক্টোবর এই বিষয়ে দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে বলেও দলের জেলা নেতৃত্বের তরফে জানা গেছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…