দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ সেপ্টেম্বর: কয়েক সেকেন্ডের মিনি টর্নেডো-তে বিধ্বস্ত হয়েছে খড়্গপুর গ্রামীণের কলাইকুন্ডা ৪ নং অঞ্চলের পূর্ব আম্মা গ্রাম। গ্রামের সমস্ত বাড়ি ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। জলমগ্ন ও টর্নেডো বিধ্বস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সঙ্কটও তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়াতে সাতসকালেই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা শাসকদলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়। তার কিছুক্ষণ পরেই, সরকারিভাবে ত্রাণ পৌঁছনোরও আগে, ত্রিপল-পানীয় জল সহ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ থামিয়ে দিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। যে বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বে চলছিল বিক্ষোভ, তাদের হাতেই সবার আগে ত্রাণ তুলে দিলেন সুজয়! এরপর অবশ্য দুপুর নাগাদ প্রশাসনের তরফেও গ্রামে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া সহ বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সংকট কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় আম্মা গ্রামে।
এদিকে, জলমগ্ন পাশের দুটি গ্রাম যথাক্রমে- রাধানগর ও শোভাপুর গ্রামে ত্রাণের দাবিতে চললো বিক্ষোভ। ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রামবাসীরা অনশনে বসলেন খড়গপুর ১ নম্বর ব্লক অফিসে। বিজেপি’র নেতৃত্বে চলে অনশন। তাদের দাবি, বৃষ্টির জলে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় তাদের অন্য জায়গায় বসবাস করতে হচ্ছে। খাওয়া-দাওয়ার নেই কোন ঠিকানা। কিন্তু, তারা এখনো পর্যন্ত ত্রিপল থেকে শুরু করে ত্রাণসামগ্রী পাননি! তাই তাঁরা অনশনে করলেন। কলাইকুন্ডা চার নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভাপুর ও রাধানগর দুই জায়গায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিৎ মাহাতো ও ঝর্না মাহাতো আজ এই অনশনে যোগদান করেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা বিজেপি করায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনো ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রিপল দেওয়া হচ্ছেনা। সেই কারণে আজ এই বিক্ষোভ ও অনশন। এ নিয়ে শাসকদলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, “অসহায় মানুষের পাশে প্রথমদিন থেকে আছি। সবং থেকে নারায়ণগড় সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছি আমরা। প্রশাসনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে যথাসাধ্য ত্রাণ বিতরণ করছি। কোন রং দেখা হচ্ছে না! বিজেপি-সিপিএম-তৃণমূল-কংগ্রেস সবাই বন্যা কবলিত, এটাই তাঁদের পরিচয়। আমরাও দলমত নির্বিশেষে ত্রাণ বিতরণ করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও করা হচ্ছে। বুধবার টর্নেডো বিধ্বস্ত পাশের গ্রামমটিকে নিয়ে সকলে ব্যস্ত থাকায়, হয়তো ত্রাণ পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। আশ্বস্ত করছি ওই দুটি গ্রামেও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।”