শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বালিচকে ওভারব্রিজ বা উড়ালপুলের কাজের জন্য ৯০ দিন রেলগেট বন্ধ থাকবে বলে গত ২৮ নভেম্বর নোটিশ করা হয়েছে পূর্ত দফতরের তরফে। তারপর থেকেই রেলগেট বন্ধ রেখে কাজ করা হচ্ছে। ফলে বাইক, অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে কোনও যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। মুমূর্ষু রোগীকেও কোলে করে বা চ্যাংদোলা করে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে পরিজনদের! তবে, এই পরিস্থিতির ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বালিচকের ব্যবসায়ীরা। এমনই দাবি করে এবং বিকল্প ব্যবস্থার আবেদন জানিয়ে সোমবার তাঁরা ডেবরার বিডিও’র কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

thebengalpost.net
স্মারকলিপি:

ব্যবসায়ীদের দাবি, বালিচকের অর্থনীতি মূলত ফুল, সবজি, মাছ এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। রেলগেট বন্ধ থাকার কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যেমন সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না, তেমনই পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, ব্যবসায়ীদের আয়ের পরিমাণ কমছে এবং বহু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। এই কাজের জন্য ৬ মাস আগে থেকেই বাস ও লরির মতো ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। এবার বাইক এবং সাইকেল চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জরুরি পরিষেবা, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এবং অফিসগামী মানুষের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সোমবার, মাতঙ্গিনী সমিতি ও বালিচক স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন ডেবরা বিডিও’র কাছে ডেপুটেশন জমা দেয়। তাঁরা দাবি করেন যে, অন্তত বাইক এবং জরুরি পরিষেবা চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

thebengalpost.net
আবেদন:

তাঁদের মতে, উড়ালপুল নির্মাণ অবশ্যই স্থানীয় উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই কাজ চলাকালীন মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়েও প্রশাসনকে নজর দিতে হবে। দ্রুত বিকল্প রাস্তা বা সীমিত যান চলাচলের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এরপরই বিডিও-র তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি বিকল্প রাস্তা বের করার চেষ্টা করা হবে। যাতে, বাইক এবং সাইকেল অন্তত পারাপার করতে পারে! সেই সঙ্গে মুমূর্ষু রোগীদের জন্যও বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

thebengalpost.net
ব্যবসায়ীদের ডেপুটেশন:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):