দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ অক্টোবর: নজর আছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী’র। কড়া নির্দেশ দিয়েছেন এই জেলার একমাত্র ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। তাই, বালি চুরির বিষয়ে কোন অন্যায়ের সঙ্গে আর আপোষ করা হবেনা- ফের একবার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল। রাতের অন্ধকারে বালি চুরি’র ঘটনায় ‘ক্লোজ’ করা হল খোদ একটি থানার অফিসার ইনচার্জ বা ওসি (Officer In Charge)-কে। শোকজ করা হল স্বয়ং বিএলআরও (BLRO) এবং এক আরআই (Revenue Inspector) অফিসারকে। ঘটনাটি মেদিনীপুর সদর এলাকার। যদিও, বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও, রাতের অন্ধকারে বালি চুরি হচ্ছিল। মজুত থাকা বালি পরিবহনের অনুমতি থাকলেও, সেই অনুমতি (সিও/ক্যারিং অর্ডার) নিয়ে রাতের অন্ধকারে নদী থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছিল! অভিযোগ ছিল ২ জন লিজ হোল্ডারের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা কিংবা পরোক্ষে মদত দেওয়ার অভিযোগে, মেদিনীপুর সদর এলাকার একটি থানার ওসি এবং বিএলআরও সহ ওই আর.আই- এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেআইনিভাবে বালি পাচার রুখতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য। নতুন ‘স্যান্ড মাইনিং পলিসি’ ও নেওয়া হয়েছে। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক নূন্যতম অনিয়ম-ও বরদাস্ত করতে রাজি নয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন-ও।