শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ জুন: এখনও চালু হয়নি দোকান। তবে, গ্রামের ৫০০ মিটারের মধ্যে হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল ও হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও সরকারি মদ দোকানের লাইসেন্স পাওয়ার পথে মালিক! পরিদর্শনও নাকি হয়ে গিয়েছে আবগারি দপ্তরের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই দোকান ঘর তৈরী হয়ে গেছে। এসে গিয়েছে বিদেশি মদের স্টকও! সোমবার গ্রামের ক্ষুব্ধ মহিলারা লাঠিসোটা হাতে নবনির্মিত সেই দোকান ঘরের সামনে হাজির হন। দাবি, এখানে মদ দোকান চালু করা যাবেনা। নাহলে তাঁরাই এই দোকান ভেঙে ফেলবেন। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের চার নম্বর দশগ্রাম অঞ্চলের মশাগ্রামের।

thebengalpost.net
বিক্ষোভ:

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দশগ্রাম অঞ্চলের অনন্ত তুং নামে এক ব্যক্তি মদের দোকানের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্সের আবেদন করেছেন। সেই খবর পাওয়ার পরই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে ওই মদের দোকান বন্ধের দাবিতে স্থানীয় প্রশাসন সহ ডিএম ও আফগারি দপ্তরে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। লিখিত আকারে অভিযোগ দেওয়ার পরেও চুপিসারে নাকি পরিদর্শন করে গিয়েছেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, লাইসেন্স পাওয়ার পথে ওই ব্যক্তি! তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের ৫০০ মিটারের মধ্যে হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল ও হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও কিভাবে মদের দোকানের লাইসেন্স পাওয়া যায়! এমনকি চুপিসারে দোকানের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে বিদেশি মদের স্টকও। গ্রামবাসীদের কাছে খবর যায়, সোমবারই ওই দোকানের উদ্বোধন! খবর পাওয়া মাত্রই গ্রামের মহিলারা লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে একত্রিত হন। ঘন্টাখানেক ধরে ওই মদের দোকানের সামনে গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে বিক্ষোভকারী মহিলারা ওই মদের দোকানের সামনে ও পিছনের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সবং থানার পুলিশ বাহিনী।

এরপর, বিক্ষোভকারীরা পুলিশ আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই মদের দোকান বন্ধ করতে হবে। না হলে আন্দোলন চলতে থাকবে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে ওঠে। আগামীদিনে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা না হওয়া অবধি মদের দোকান খোলা হবে না বলেও পুলিশের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দেন, এই মদের দোকানের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলে, আগামীদিনে তাঁরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

thebengalpost.net
মহিলাদের দাবি: