দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর: উপনির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে ফের শক্তিক্ষয় কুড়মি সমাজের! কুড়মি শিবির ছেড়ে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের বাঁকিবাধ অঞ্চলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা সহ অসংখ্য কর্মী-সমর্থকেরা যোগ দিলেন শাসক-শিবিরে। প্রসঙ্গত, মাত্র বছর দুয়েক আগেও কুড়মি আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল শালবনী সহ সমগ্র জঙ্গলমহল। তফসিলি উপজাতি বা এস.টি হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে তথা CRI কমেন্ট ও জাস্টিফিকেশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে রেলপথ, সড়কপথ অবরোধ থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গড়ে তোলা হয় সমস্ত কুড়মি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘ঘাঘরঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি’। সেই কমিটির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া সহ কুড়মি অধ্যুষিত জেলাগুলিতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ৬টি বুথে বা গ্রাম সংসদে জয়ীও হন কুড়মি প্রার্থীরা। ৪নং বাঁকিবাঁধ অঞ্চল থেকেই জয়ী হন ৫ জন। ৩নং শালবনী অঞ্চল থেকে জয়ী হন ১ জন। তাঁদের মধ্যে বাঁকিবাধ অঞ্চলের ঝড়ভাঙার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তাপস মাহাত এবং শালবনী অঞ্চলের একমাত্র জয়ী সদস্য মাধব মাহাত আগেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সোমবার মেদিনীপুর বিধানসভার অধীন শালবনী ব্লকের বাঁকিবাধে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী সুজয় হাজরা-র প্রচার চলাকালীন বাঁকিবাধ অঞ্চলের জোয়ালভাঙার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা শম্পা মাহাত যোগ দেন শাসক শিবিরে।
সোমবার দুপুরে শম্পার হাতে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা, নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দীনেন রায়, শালবনীর বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রসাদ মাহাত প্রমুখ। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রসাদ মাহাত দাবি করেন, শম্পা মাহাত ছাড়াও ঝড়ভাঙার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তাপস মাহাতও এদিন বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। যদিও, তৎকালীন ঘাঘরঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বাঁকিবাধ অঞ্চলের কুড়মি নেতা সুমন মাহাত বলেন, “৬ জন জয়ী সদস্যের মধ্যে তাপস মাহাত ও মাধব মাহাত আগেই (লোকসভা নির্বাচনের পরে পরেই) শাসক শিবিরে যোগদান করেছিলেন। শুনলাম আজকে জোয়ালভাঙা সংসদের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা শম্পা মাহাত তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে, আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। সেই দাবি থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই! হয়তো বিভিন্ন কারণে আন্দোলন এখন স্তিমিত আছে। আমাদের নেতৃত্বরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছেন। দাবি পূরণ না হলে, আবারও আন্দোলন শুরু হবে। এখন ব্যক্তিগত স্বার্থে কিংবা কোনো প্রলোভনের কারণে হয়তো অনেকেই রাজ্যের শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়ছেন। সে নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আর আমরা এই উপনির্বাচনেও কোন রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন বা বিরোধিতার অবস্থানে যাইনি। যে যাঁর মত করে সমর্থন বা বিরোধিতা করতে পারেন।” যোগদানকারী শম্পা মাহাত বলেন, জন্য উন্নয়নের কাজ করতেই তিনি শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “সমস্ত সম্প্রদায় কিংবা জাতি-উপজাতির দাবি পূরণ থেকে শুরু করে দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য সার্বিক উন্নয়ন যিনি করতে পারেন কিংবা করে চলেছেন, তিনি এক এবং একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরোধিতা ছেড়ে উন্নয়নের ছাতার তলায় সকলেরই আসা উচিৎ! অনেকেরই ভুল ভাঙছে। তাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ নভেম্বর: হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে 'অনুপস্থিতির' অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ নভেম্বর: কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দীর্ঘদিনের দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ নভেম্বর: কথাতেই আছে "চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী!"…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর: সুসজ্জিত বাইক ও টোটো র্যালির মধ্য দিয়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর: দলীয় কার্যালয়ে নিজের হাতে পতাকা বাঁধা থেকে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ নভেম্বর: ভাইফোঁটার সকালে মেদিনীপুর শহরের মির্জাবাজার, রাজাবাজারে প্রচার…