দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ নভেম্বর: টিবি বা যক্ষা বা ক্ষয় রোগ এখনও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বিপজ্জনক বা সর্বাধিক বিপজ্জনক রোগ। সারা বিশ্বে প্রতি দেড় মিনিটে ১ জনের মৃত্যু হয় টিবি রোগে। এমনকি, সারা বছরে যে সমস্ত সংক্রামক (ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত) রোগে মানুষ আক্রান্ত হন, তার মধ্যে সর্বাধিক হল টিবি বা যক্ষ্মা (টিউবারকিউলোসিস) রোগ। একে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রেও প্রতি বছর ৫-৬ হাজার মানুষ টিবি আক্রান্ত হন। তবে, সঠিক চিকিৎসা হলে এবং প্রয়োজনীয় পথ্য বা পুষ্টিকর খাবার খেলে এই রোগ ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে সেরে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে ‘টিবি মুক্ত পঞ্চায়েত’ বা ‘নি-ক্ষয় মিত্র’ প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে, উপস্থিত টিবি আক্রান্ত রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে ঠিক এই সমস্ত তথ্যগুলিই তুলে ধরেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী।
একইসঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছেন, সমাজের একজন সু-নাগরিক বা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে যে কেউ অসহায় টিবি আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে- “নি-ক্ষয় মিত্র প্রকল্প”। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়। প্রায় ৬ মাস ধারাবাহিকভাবে এই ওষুধ খেতে হয়। একইসঙ্গে, এই ৬ মাস রোগীকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। মুসুর ডাল, সোয়াবিন, দুধ, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খেতে হয়। কিন্তু, অনেক সময়ই দরিদ্র পরিবারের টিবি আক্রান্ত রোগীরা এই খাবারের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সেজন্যই সরকারের তরফে বা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে- নিক্ষয় মিত্র প্রকল্প। এই কর্মসূচিতে যে কেউ অসহায় টিবি আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। প্রতি মাসে একজন টিবি আক্রান্ত-কে এই সমস্ত পুষ্টিকর খাবারের জন্য ৫০০ টাকা (বা, ওই টাকার খাবার) দেওয়া হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। সেই হিসেবে একজনের জন্য ৬ মাসে সর্বাধিক ৩০০০ টাকা খরচ হবে। তবে, সমাজের যে কোন স্তরের মানুষ যেকোনো টিবি আক্রান্ত রোগীর অন্তত ১ মাসের খরচ দিয়ে হয়ে উঠতে পারেন একজন- ‘নিক্ষয় মিত্র’। আর্থিক সম্বল থাকলে একাধিক টিবি রোগীর দায়িত্বও নিতে পারেন এই কর্মসূচির মাধ্যমে।
মঙ্গলবার গড়বেতা-১ নং ব্লকের মধ্য দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়ে গেল। এই ব্লকের ২৮৪ জন টিবি বা যক্ষ্মা আক্রান্তদের নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ১ মাসের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়া হয় এদিন। ‘নিক্ষয় মিত্র’ হিসেবে এক বা একাধিক যক্ষা রোগীর দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং CMOH সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, BDO রামজীবন হাঁসদা, BMOH সঞ্চিতা কর্মকার সহ স্বাস্থ্য দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক। CMOH ডঃ সারেঙ্গী বলেন, “যক্ষ্মা বা টিবি রোগ-কে একসময় ক্ষয় রোগ বলা হত। সমাজকে ক্ষয় রোগ বা যক্ষ্মা মুক্ত করার জন্যই এই নি-ক্ষয় মিত্র প্রকল্প। এখানে একজন নিক্ষয় মিত্র হয়ে উঠতে গেলে নূন্যতম ৫০০টাকা খরচ করলেই হবে। আর্থিক সম্বল থাকলে বেশিও করতে পারেন। আমি নিজে ২ জন যক্ষ্মা রোগীকে ৬ মাসের জন্য দত্তক নিয়েছি অর্থাৎ তাঁদের ৬ মাসের পুষ্টিকর খাবারের দায়িত্ব নিয়েছি। আপনার নিজের এলাকাকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে চাইলে, আপনারও এগিয়ে আসুন।” এজন্য নিকটবর্তী BDO অফিস, ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর বা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্তা।
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বালিচকে ওভারব্রিজ বা উড়ালপুলের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: উপনির্বাচনে 'বিজয়ী' বাংলার নবনির্বাচিত ৬ জন বিধায়ক…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২ ডিসেম্বর: আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ইতিহাসে এর আগে বছরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২১ ডিসেম্বর: "দিলীপ দা আপনি যে সদস্যতা অভিযান কর্মসূচি করছেন,…
মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ ডিসেম্বর: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা যায় এই ভেষজ উদ্ভিদ তথা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ ডিসেম্বর: প্রায় ৬ বছর পর জাঁকজমক সহকারে নবীন…