শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মার্চ: “১০ তারিখ যে নেতা-নেত্রীরা ব্রিগেডে যাবেনা, ১১ তারিখ তাঁরা পদ হারাবেন! এই মঞ্চে যেসব নেতা-নেত্রীরা বসে আছেন, তাঁরা যদি কর্মীদের সঙ্গে ব্রিগেডে না যান; একটারও পদ থাকবেনা।” শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের চাঁদকুড়িতে জনগর্জন সভার সমর্থনে আয়োজিত সভা থেকে এই হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। মঞ্চ থেকে সবংয় সহ জেলার তৃণমূল নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।

thebengalpost.net
মানস রঞ্জন ভূঁইয়া (নিজস্ব চিত্র):

thebengalpost.net
Advertisement (বিজ্ঞাপন):

উল্লেক্ষ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই জনগর্জন সভায় যে সমস্ত নেতারা যাবেন না, তাদের ‘একটারও’ পদ থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। ১১-মার্চই পদ হারাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর। তিনি বলেন, “সবাইকে যেতে হবে। না গেলে একটারও পদ থাকবেনা!” প্রসঙ্গত, মেদিনীপুরের সভাতেও ব্রিগেড নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দলের ক্যাবিনেট মন্ত্রীও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ‘ব্রিগেড ভরানো’ নিয়ে যে তৃণমূল বেশ চাপে, তা বলাই বাহুল্য!

অন্যদিকে, মেদিনীপুরের কলেজ কলেজিয়েট মাঠের সভা শেষে মঞ্চ থেকে নামার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি খড়্গপুরের এক ‘গদ্দর’ নেতার দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন! জানা যায়, ওই নেতা আবার জেলার এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। খড়্গপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি-র বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা ও বিধায়ক হিসেবেই তাঁরা পরিচিত বলে জানা যায়। নেত্রীর কাছে নাকি খবর, খড়্গপুরের ওই নেতার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের যোগ রয়েছে! এই মুহূর্তে ওই নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে আছেন। ইতিমধ্যে তাঁকে ‘পদত্যাগ’ করতে বলা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর! আপাতত এই ‘গদ্দর-যোগ’ ঘিরে জেলার রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।