Paschim Medinipur

Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরের মনসা মন্দিরের মাহাত্ম্য প্রচারিত লোকমুখে, দিন দিন বাড়ছে ভক্তদের ঢল

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত মাদপুর। এই মাদপুরেই রয়েছে সুপ্রাচীন ও সুপ্রসিদ্ধ মনসা দেবীর মন্দির। চারিদিক কারুকার্যমন্ডিত প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকলেও দেবীর মাথার উপরে নেই কোন আচ্ছাদন। ছোট্ট মন্দির আজ পরিপূর্ণ রূপ পেয়েছে।বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বড় পুজো হলেও, সপ্তাহের শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত মনস্কামনা পূরণে আসেন দেবীর কাছে। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রত্যন্ত এই এলাকা সাধারণ মানুষের অন্যতম এক পর্যটন-গন্তব্য হয়ে উঠছে ক্রমেই। মন্দির চত্বর ও পুকুরের সংস্কারও করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মন্দিরের কাছেই গড়ে উঠেছে নিরামিষ খাবারের দোকানও।

মাদপুরের মনসা মন্দির:

উল্লেখ্য যে, খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোবিন্দনগর মৌজার মহিষা গ্রামে রয়েছে মনসা দেবীর মন্দির। অনেকে এই মন্দিরকে মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দির বলেও ডাকেন। খড়্গপুর থেকে হাওড়াগামী রেললাইনের পাশে মাদপুরের কাছে ফাঁকা মাঠে মনসা দেবীর অবস্থান। যাওয়া যায় সড়ক পথেও। মাদপুরের এই মনসা দেবীর মন্দিরকে নিয়ে বহু অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। প্রচলিত আছে, দেবীর কাছে আন্তরিকভাবে মনস্কামনা জানানো হলে, দেবী তা পূরণ করেন। অনেকেই বহু দূর থেকে আসেন মানত পূরণ করতে। বহু প্রাচীন সময় থেকেই পূজিতা হয়ে আসছেন মাদপুরের এই দেবী মনসা। অতীতে এই অঞ্চলটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। যা মা মনসার জঙ্গল নামেই পরিচিত ছিল।প্রায় ৪০০ বছর আগে এই মহিষা গ্রামটি ছিল জমিদার যোগেশ্বর রায়ের তালুক। কথিত আছে, জমিদার জঙ্গল পরিষ্কার করে ওই অঞ্চলে দেবীর নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে মা মনসার স্থান বলে যেখানে ভক্তরা পুজো করেন, সেখানে আগে ছিল এক বিরাট উইয়ের ঢিপি। কথিত আছে, ওই ঢিপির নীচে প্রচুর সাপ থাকত।

আজ আর সেখানে জঙ্গল নেই। নেই পুরোনো গাছগাছালিও। বর্তমানে, ওই উইয়ের ঢিপিকে কংক্রিটে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি করা হয়েছে পদ্মফুল। এই পদ্মফুল দেবী মনসার প্রতীক।শনিবার সকাল থেকে বহু ভক্তের ভিড় জমে ছিল এই মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দিরে। এখানে দেবীকে নিজেকেই পূজো করতে হয়। কেউ কেউ আবার মনস্কামনা জানিয়ে প্রতিষ্ঠিত পুকুর থেকে দন্ডি কেটে মায়ের মন্দিরে আসে। সব মিলিয়ে বছরে নির্দিষ্ট দিনের পাশাপাশি শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে মনসা দেবীর মন্দিরে। সুপ্রাচীন এই মাদপুরের মনসা মন্দিরের মাহাত্ম্য ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে।

প্রবেশপথ:

News Desk

Recent Posts

Midnapore: ‘অযোগ্যদের বরখাস্ত করতে হবে!’ মেদিনীপুরে দাবি তুললেন যোগ্যরা, স্কুলমুখো হলেননা বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাই

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…

12 hours ago

Midnapore: “আবার বিপ্লব হবে!” মেদিনীপুরের মাটি ছুঁয়ে শপথ চাকরিহারা শিক্ষকদের

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল: "আমি যদি অযোগ্য হই...যান বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে…

5 days ago

Midnapore: কোনো স্কুলে ৮ জন, কোনো স্কুলে ৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল! “গ্রামের স্কুলগুলো শেষ হয়ে গেল”, আর্তনাদ মেদিনীপুরের প্রধান শিক্ষকদের

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ এপ্রিল: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর…

5 days ago

Supreme Court: হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৩ এপ্রিল: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল দেশের সর্বোচ্চ…

6 days ago

Midnapore: মেদিনীপুরে ‘রক্তপাতহীন’ শিকার উৎসবই চ্যালেঞ্জ! বিশাল বাইক র‌্যালি থেকে দেওয়া হল বার্তা

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: জঙ্গলমহল এলাকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আদিবাসীদের শিকার…

7 days ago

Medinipur: বার্ষিক পুজো ও মহামেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল মাদপুরের মনসা মন্দিরে

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: দেবীর কোনও বিগ্রহ বা মূর্তি নেই। মাঠের…

1 week ago