দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ নভেম্বর: ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল ভারতের সংবিধান। যেটি উৎসর্গ করা হয় জাতির উদ্দেশ্যে। পরবর্তীকালে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই সংবিধান বাস্তবায়িত করা হয়। যেহেতু ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর এটি গৃহীত হয়, তাই ওই বিশেষ দিনটিকে প্রতিবছর পালন করা হয় “সংবিধান দিবস” হিসেবে। সেই রেশ বজায় রেখেই মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার দশগ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে মহাসমারোহে পালিত হল এই বিশেষ দিনটি। মূলত, পশ্চিম মেদিনীপুর নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং দশগ্রাম সম্মিলিত সংঘের পরিচালনায় “সংবিধান দিবস” উপলক্ষ্যে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে একটি পদযাত্রার মাধ্যমে সূচনা হয় এই অনুষ্ঠানের। যেখানে পা মিলিয়েছিল মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের পড়ুয়ারা। পাশাপাশ গ্রামের অধিবাসীরাও তাতে যোগদান করেন। তারপরে সংবিধানের প্রণেতা ড. বি.আর আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পাশাপাশি শহিদ বেদিতেও মাল্যদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ এবং সংবিধান সংক্রান্ত আলোচনা পর্ব সম্পন্ন হয়। এই মহতী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দশগ্রাম মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পাশাপাশি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেবরা থানা শহিদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক অরিন্দম দাস। এদিকে, সংবিধান নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করে প্রবন্ধ এবং কুইজ প্রতিযোগিতাতেও। এই সামগ্রিক অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে দশগ্রাম সম্মিলিত সংঘের সম্পাদক সুখেন্দু পন্ডা জানিয়েছেন যে, “পশ্চিম মেদিনীপুর নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং সম্মিলিত সংঘের পরিচালনায় দশগ্রামের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে আমরা ‘সংবিধান দিবস’ পালন করলাম। স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারাও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ভারতের সংবিধানের ইতিহাস এবং তার গুরুত্ব সম্পর্কে অনুষ্ঠানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে পড়ুয়াদের সমৃদ্ধ করবে।”