দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুলাই: ভগ্নপ্রায় দশা। ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল! যে কোনও মুহূর্তে চাঙড় ভেঙে পড়তে পারে পড়ুয়াদের মাথায়। বাধ্য হয়েই তাই স্থানীয় একটি মন্দিরের আটচালাতে (বা, চাতালে) চলছে স্কুল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অধীন কেশপুর-১নং চক্রের পালংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমনই জরাজীর্ণ দশা। ৭৫ বছরের সুপ্রাচীন সরকারি (বা, সরকার অনুমোদিত) স্কুল। অথচ, বিদ্যালয়ের সংস্কার হয়নি কয়েক যুগ। বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও কাজ হয়নি বলে দাবি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে, শুধু কেশপুরের পালংপুর নয়; জেলা কিংবা গোটা রাজ্যে এমন বহু ‘পালংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়’-ই আছে; যেগুলির অবস্থা বেহাল বা শোচনীয়! অবশেষে সেই সমস্ত ‘বিপজ্জনক’ স্কুল বাড়িগুলির হাল ফেরাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতি ব্লকের ১০টি করে স্কুলের আশু সংস্কার করা হবে। সেই তালিকা তৈরী করে দ্রুত শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেল প্রশাসনকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেও এই তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানিয়েছেন, “আমাদের জেলায় ২১টি ব্লক আছে। ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্রুত সংস্কার করা হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের তরফে সেই তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। কেশপুর ব্লকের পালংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারও হবে।” তিনি এও জানান, প্রথম পর্যায়ে ভগ্নপ্রায় ২১০টি স্কুল বেছে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নির্দেশ এলে ক্রম অনুসারে অন্যান্য স্কুলগুলিও বেছে নেওয়া হবে।