দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ অক্টোবর: মহা নবমীর সন্ধ্যায় নিজের ছোট্ট ছেলেকে কোলে বসিয়ে, রিক্সায় চেপে জেলা শহর মেদিনীপুরের পুজো দেখলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী। কাউকে না জানিয়ে, শহরের একজন সাধারণ নাগরিকের মতোই সোমবার (নবমীর) সন্ধ্যায় সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন জেলাশাসক। যদিও নিজের বাংলো (হেস্টিংস হাউস) থেকে বেরোনোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই খবর পৌঁছে যায় সাংবাদিকদের কাছে! তবে, ক্যামেরা নিয়ে তাঁর কাছে পৌঁছতেই প্রথমে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান জেলাশাসক। লাজুক হেসে বলেন, “আজ এসব থাক। শহরবাসী পুজো কেমন কাটাচ্ছেন তা দেখতেই, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছি!” এরপর অবশ্য সকলকে পুজোর শুভেচ্ছা জানান জেলাশাসক। আবেগ চেপে রাখতে না পেরে ‘কাশ্মীরের সন্তান’ খুরশিদ আলি কাদরী বলেন, “আমি এই প্রথম পুজো দেখছি। আমার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। কয়েকটা প্যান্ডেল দেখলাম। খুব ভাল হয়েছে। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
ভিড়ের কারণে অবশ্য মণ্ডপে প্রবেশ করেননি জেলাশাসক। দূর থেকেই ছেলেকে প্যান্ডেল ও ঠাকুর দেখিয়েছেন। নিরাপত্তার বেষ্টনী ছাড়াই, কিছুটা ফাঁকা রাস্তায় ছেলেকে নিয়ে শহরের সিপাইবাজার, রাজাবাজার প্রভৃতি এলাকাগুলি ঘুরে এলআইসি’র মোড়ে নিজের বাংলোতে প্রবেশ করেন জেলাশাসক। একইসঙ্গে, আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জেলা শহর মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলা পুজো কার্নিভালেও সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলাশাসক। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার শুধু জেলা শহর মেদিনীপুরেই পুজো কার্নিভাল হবে। তার প্রস্তুতিও খুব সুন্দরভাবে চলছে। আমি আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। মেদিনীপুর, খড়গপুর, ঘাটালের পুজোও এবার খুব ভাল হয়েছে।” উল্লেখ্য যে, এবার কলকাতা (২৭ অক্টোবর) ছাড়া প্রতিটি জেলা শহরে (২৬ অক্টোবর) হবে পুজো কার্নিভাল। তাই, এবার আর ‘রেল শহর’ খড়্গপুরে এই কার্নিভাল হবেনা। ইতিমধ্যে, শহর মেদিনীপুরের ২০-টির বেশি পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশগ্রহণের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, অষ্টমীর রাতে মেদিনীপুর শহর এবং খড়্গপুর শহরে বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেন জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। দুই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পুলিশ সুপার। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি বাইকে ছিলেন দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরা। মেদিনীপুর শহরে পুলিশ সুপার জানান, “শহরবাসীর নিরাপত্তা ঠিকঠাক আছে কিনা, কোন ধরনের যানজট, ইভটিজিং প্রভৃতি হচ্ছে কিনা, এই সমস্ত খতিয়ে দেখতেই বেরিয়ে পড়েছিলাম।” দুই শহরের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা পুলিশ সুপার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পুজোর আগেই পুলিশ সুপার জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বাইক নিয়ে দুই শহরে ঘুরে বেড়াবেন। যদিও, অষ্টমী ও নবমী-র গভীর রাতে পুলিশের নজর এড়িয়েই দুই শহরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সাইলেন্সার বিহীন বেশ কিছু বাইক! পুলিশ সুপার অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “ধরতে পারলেই এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মার্চ: মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাবালিকার একটি…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মার্চ: নারী দিবসের তিন দিন পরই নতুন বাবা-মা'র…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: রূপসার বয়স তখন মাত্র দু'বছর। মিষ্টি মেয়েটির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৮ মার্চ: একদিকে যখন বামেদের ছাত্র ধর্মঘটে SFI-DSO'র মহিলা কর্মীদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: মেদিনীপুর পৌরসভার তৎপরতায় চলতি সপ্তাহেই শরৎপল্লী পৌর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ মার্চ: নবম জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় (9th National…