মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ আগস্ট:”আমি গর্বিত, এই বিপ্লবীদের মাটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। মেদিনীপুরের এই মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেছেন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, শহীদ প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য-রা। সেই মাটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।” মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে ৭৭-তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করার পর ঠিক এভাবেই বিপ্লব আর সংগ্রামের পীঠস্থান মেদিনীপুরের ইতিহাস স্মরণ করেন জেলাশাসক (District Magistrate) খুরশিদ আলি কাদরী (Khursheed Ali Quadri)। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে নারী শিক্ষা ও নারীদের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি তুলে ধরে স্মরণ করেন মেদিনীপুরের (অধুনা, পশ্চিম মেদিনীপুর) আরেক বীর-সন্তান তথা সমাজ সংস্কারক ও ‘নারী শিক্ষা’র অগ্রদূত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-কে।
জেলাশাসক বলেন, “আমাদের এই জেলায় ১৪ লক্ষ মহিলার নাম লক্ষ্মীরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১২ লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। ১৮ লক্ষ ছাত্রী কন্যাশ্রী পাচ্ছেন। এরকম অনেক প্রকল্প ও পরিষেবা আছে, দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে এখন মানুষ সেই সমস্ত পরিষেবা পাচ্ছেন। সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবার শুরু হবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।” বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে জেলাশাসক বলেন, “এই জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছেন মনীষী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আমি তাঁকে প্রণাম জানাই। প্রণাম, সালাম, ধন্যবাদ ও নমস্কার জানাই এই জেলার প্রতিটি মানুষকেও।” এদিন, নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট অনুযায়ী জেলাশাসক পতাকা উত্তোলন করেন এবং জওয়ানদের কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে এদিন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।