দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: গত ৫০ বছর ধরে অবিভক্ত মেদিনীপুর বাসীর অন্যতম দাবি, কেলেঘাই নদীর উপর একটি স্থায়ী কংক্রিটের সেতু। বর্তমান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার অন্তর্গত কাটাখালী এলাকায় এই সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, এলাকাবাসীর সেই দাবি আজও পূরণ হলোনা! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনও সেই কাঠের সেতু দিয়েই পারাপার করতে হয় বর্তমান পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটা বিশাল অংশের বাসিন্দাদের। ছোটো-বড় সবরকম যানবাহনই এই কাঠের সেতু দিয়েই পারাপার করে। ইতিমধ্যে, বেশ কয়েকবার সেতু ভেঙে দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও, হবে হবে করে আজও হয়নি স্থায়ী সেতু! এই কাঠের সেতুর একপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং, মোহাড় প্রভৃতি এলাকা; অন্য প্রান্তে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এলাকা। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি আজও পূরণ হলোনা, এটাই আফশোষ এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ সাঁতরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই সেতুর দাবি করে আসছি। প্রতিবারই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ভোটের সময় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু, আজ পর্যন্ত সেই সেতু তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে আমাদের এই কাঠের সেতু দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয়। এই কাঠের সেতু ভেঙে অনেকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে; যাতে দু’জনের মৃত্যু পরো হয়েছে!” আরেক বাসিন্দা অতনু জানা জানালেন, “এই সেতু তৈরি না হওয়ার ফলে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের যোগাযোগের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়।”
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে ১৯৭৩ সালে সবং থেকে ভগবানপুর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার রাস্তা এবং সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয় তৎকালীন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। পরে, সবং থেকে মোহাড় পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা এবং ভগবানপুর থেকে গয়লাপুকুর পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ হলেও, গয়লাপুকুর থেকে কাটাখালী সেতু পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তাটির জন্য মাটি পড়লেও এখনো পর্যন্ত রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রতিবার নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলও, আজ প্রায় ৫০ বছর হতে চললো সেতু তৈরির কাজ এগোলো না! স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত এও জানা যায়, গয়লাপুকুর থেকে কাটাখালী পর্যন্ত প্রায় ১০০ একর জায়গা রাস্তা তৈরির জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও, সেই জমির মালিকরা আজ পর্যন্ত টাকা পাননি! অপরদিকে, সবং থেকে মোহড় পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৫ একর জায়গার টাকাও এখনো জমি মালিকরা পাননি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ওই জমির মালিকদের ন্যায্য মূল্য মিটিয়ে দিয়ে দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করুক সরকার; তারপর, তৈরি হোক এই সেতু। তবে, গ্রামবাসীদের দাবি এখনও “দাবি” আকারেই থেকে গেছে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনে! সবং এলাকার দীর্ঘদিনের বিধায়ক (মাঝখানে বিধায়ক ছিলেন তাঁর স্ত্রী গীতা ভূঁইয়া) তথা বর্তমান রাজ্য সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান থেকে শুরু করে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী কোনো কাজই সম্পূর্ণ হচ্ছে না, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার ফলে। রাজ্য সরকার প্রস্তুত থাকলেও, বর্তমান কেন্দ্র সরকার কোনো অর্থই মঞ্জুর করছেনা! কেলেঘাই কপালেশ্বরী প্রকল্পের ৬৫০ কোটি টাকা তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে, ৩৭৮ কোটি টাকার কাজ হয়ে গেছে। বাকি টাকা আজও পাওয়া গেলনা! ফলে, ব্রিজও হচ্ছেনা। যে সমস্ত খালগুলি (১৬ টি) কাটা হয়েছিলো, তাও বালিতে ভরে যাচ্ছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…