দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ ডিসেম্বর: সেতু না মৃত্যুফাঁদ, বোঝা মুশকিল। গ্রামবাসীদের মতে, ওই সেতু দিয়ে পারাপার করা মানে মৃত্যুর জন্য লটারি কাটা! ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাই অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুর নাম রেখেছেন ‘রাজ্য সরকারের ডিয়ার লটারি’! তাঁদের সংযোজন, ১ম পুরস্কার- মৃত্যু। ২য় পুরস্কার- আজীবন শয্যাশায়ী। আর, ৩য় পুরস্কার বহু অর্থ ব্যয়ে বেঁচে থাকা! হাতে এমনই প্ল্যাকার্ড ধরে সোমবার এই অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার (চন্দ্রকোনা ২নং ব্লক) বান্দিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এবং মনোহরপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। অভিযোগ, এই দুই গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী এলাকায় শীলাবতী নদীর উপর দীর্ঘ দিন যাবৎ রয়েছে কাঠের সেতু। সেই সেতু এখন বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে, নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। বিপজ্জনক সেই সেতু দিয়েই আশপাশের প্রায় ৩০টি গ্ৰামের কয়েক হাজার মানুষকে রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়! স্থানীয় প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন থেকে মহকুমা প্রশাসন, বারবার দরবার করেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের! আর সেজন্যই এ অভিনব প্রতিবাদ।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙা-নড়বড়ে এই কাঠের সেতুটি চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের সঙ্গে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের সংযোগ করছে। বর্তমানে সেতুটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে মৃত্যু-ফাঁদে! গ্ৰামবসীরা বলেন, কয়েক দিন আগেও এলাকার এক যুবক সেতু থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। বর্তমানে ওই যুবক ওড়িশার কটকে চিকিৎসাধীন। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি কংক্রিটের সেতুর দাবিতে গ্রামবাসীরা হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেতুটিকে ‘রাজ্য সরকারের ডিয়ার লটারি’র সাথে তুলনা করে, প্রথম পুরস্কার ‘মৃত্যু’; দ্বিতীয় পুরস্কার ‘আজীবন শয্যাশায়ী’ এবং তৃতীয় পুরস্কার ‘বহু অর্থ ব্যয়ে বেঁচে থাকা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। পোস্টার হাতে গ্রামবাসীদের এমনই অভিনব প্রতিবাদ ঘিরে আলোড়ন পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে!
গ্রামবাসীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মনোহরপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা ব্লক তৃণমূলের নেতা রামচন্দ্র কোটাল বলেন, “আমি গ্রামবাসীদের দাবির সঙ্গে সহমত। এই সেতু সত্যি পারাপারের অযোগ্য। অনেকেই পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে এই সেতু সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কংক্রিটের সেতুর জন্য যাতে জেলা পরিষদ বা প্রশাসনের তরফে অর্থ বরাদ্দ করা হয় সেই বিষয়ে আবারও আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব।” বিজেপি-র স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সন্দীপ খাঁ বলেন, “যতদিন না কংক্রিটের সেতু তৈরি হচ্ছে, ততদিন এই সেতু খুলে ফেলা হোক। এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার না করাই ভালো!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: আমেরিকার অ্যারিজোনায় পাথুরে জমির মধ্যে বয়ে গিয়েছে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: কুয়াশার চাদরে ঢাকল শহর মেদিনীপুর! শনিবার সন্ধ্যার…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: "শুনে আনন্দিত হলাম বনশুয়োরের বাচ্চাটি শালবনী থেকে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেন নি। বিকেলে পুকুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: গত ৫ ডিসেম্বর 'রেল শহর' খড়্গপুরের বোম্বে…
মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলেও নজরকাড়া জীববৈচিত্র্য উদ্যান বা বায়োডাইভার্সিটি পার্ক (Biodiversity…