তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ নভেম্বর: স্কুল-লাগোয়া পুকুর থেকেই উদ্ধার মেধাবী ছাত্রের মৃতদেহ! পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার রানীগঞ্জ এলাকায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা জানেন না কিভাবে ঘটনা ঘটলো! যদিও, ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রামজীবনপুর পৌরসভার বাইপাস সংলগ্ন ওই বেসরকারি স্কুলের কর্ণধার গৌতম দাস-কে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে চন্দ্রকোনা থানার অধীন রামজীবনপুর ফাঁড়ির তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চন্দ্রকোনার রানীগঞ্জের বাসিন্দা শান্তিনাথ দত্তের ছেলে শুভজিৎ দত্ত (১৫) রামজীবনপুর এলাকার ওই বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্র। থাকত স্কুলেরই হস্টেলে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ছুটির দিন সকালে ওই স্কুল লাগোয়া একটি পুকুর থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। দ্রুত ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এরপরই, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। শুভজিতের পরিবারের দাবি, সোমবার দুপুরে তাঁদের কাছে খবর আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। আর এখানেই সন্দেহ হয় তাঁদের। শুভজিৎ এর পরিবারের দাবি, শুভজিৎ গ্রামের ছেলে। সাঁতার জানত। তাহলে, স্কুলের পুকুরে ডুবে তার কিভাবে মৃত্যু হতে পারে? তাঁদের অভিযোগ, শুভজিৎ এর মৃত্যু হয় সকালে। কিন্তু, স্কুলের তরফ থেকে তাঁদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে দুপুর একটা নাগাদ। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। তারপরই গ্রেফতার করা হয় স্কুলের মালিককে। যদিও, বেসরকারি ওই আবাসিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের মালিক গৌতম দাসের দাবি, স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে যেতে পারে! তবে এই বিষয় স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলের হস্টেলে স্থানের ব্যবস্থা আছে। তাহলে পড়ুয়া কেন পুকুরে গেল? আর, ক্যাম্পাস জুড়ে সিসি ক্যামেরাই বা কেন লাগানো নেই? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।