দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ অক্টোবর: উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগেই। তবে, সবকিছুই চলছিল ঢিমে তালে! এর মধ্যেই, চলতি বছরের মে মাসে (২৭ মে, ২০২৩) শাসকদলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে গিয়ে হঠাৎ করেই শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই জেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্লাড ব্যাঙ্কের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মাত্র সাড়ে ৪ মাসের মধ্যেই নিজের প্রতিশ্রুতি রাখলেন তিনি। প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের শালবনীতে অবস্থিত শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নবনির্মিত ব্লাড ব্যাঙ্ক বা ব্লাড সেন্টারের উদ্বোধন হল আজ, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর)। উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী ও জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন শালবনীর বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানি মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ, শালবনী BDO প্রণয় দাস, BMOH ডঃ কৌশিক সিং প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৩০০ ইউনিটের এই ব্ল্যাড ব্যাংকের সূচনা হয়। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল অধ্যুষিত শালবনী, গোয়ালতোড়ে, গড়বেতা, চন্দ্রকোনারোড সহ পাশাপাশি এলাকার মানুষজনকে এতদিন রক্তের জরুরি প্রয়োজনে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ছুটতে হত। শুধু তাই নয় শালবনীর উপর দিয়ে গিয়েছে ৬০নং জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় জখমদের এই হাসপাতালেই আনা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রক্তের প্রয়োজন পড়ে। এদিকে, জঙ্গলমহলবাসীর অন্যতম ভরসা এই হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকলেও, ব্লাড সেন্টারের অভাব ছিল! স্বাভাবিকভাবেই এই হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক বা ব্লাড সেন্টারের উদ্বোধনের ফলে উপকৃত হবেন জঙ্গলমহলবাসী থেকে শুরু করে একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ।
জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেন, “চলতি বছরের মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে ব্লাড ব্যাংকের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দ্রুত সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে। এই হাসপাতালের পরিষেবা ও পরিকাঠামোও যথেষ্ট ভাল। ব্লাড ব্যাংক হয়ে যাওয়ায় পরিষেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আমরা আশাবাদী।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “যে কোনও বড় হাসপাতালের ক্ষেত্রেই ব্লাড সেন্টার অত্যন্ত জরুরী। বর্তমানে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল, ঘাটাল ও ডেবরা সুপার স্পেশালিটিতে ব্লাড সেন্টার রয়েছে। কিন্তু, শালবনী সুপার স্পেশালিটিতে এতদিন ব্লাড সেন্টার ছিল না। এবার সেই অভাব মিটলো! রক্তের জন্য শালবনীবাসীকে আর মেদিনীপুরের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতে হবে না।” জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লাড সেন্টারে রক্ত মজুতের পাশপাশি থ্যালাসমিয়া রোগীদেরও রক্ত দেওয়া হবে। ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে রক্ত সংগ্রহ করে রক্তের চাহিদা মেটাবেন। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শালবনীর মানুষ। অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আগামী রবিবার (১৫ অক্টোবর) জেলা পুলিশের তরফে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে এই হাসপাতালেই। যেখানে ২০০ জন রক্তদান করবেন। জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক।
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বালিচকে ওভারব্রিজ বা উড়ালপুলের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: উপনির্বাচনে 'বিজয়ী' বাংলার নবনির্বাচিত ৬ জন বিধায়ক…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২ ডিসেম্বর: আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ইতিহাসে এর আগে বছরে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২১ ডিসেম্বর: "দিলীপ দা আপনি যে সদস্যতা অভিযান কর্মসূচি করছেন,…
মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ ডিসেম্বর: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা যায় এই ভেষজ উদ্ভিদ তথা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ ডিসেম্বর: প্রায় ৬ বছর পর জাঁকজমক সহকারে নবীন…