দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ এপ্রিল: হেলমেট বিহীন বেলাগাম বাইক ড্রাইভ! মাত্র ১৮-তেই প্রাণ গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের যুবকের। গুরুতর আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আরও ১। সম্পর্কে তাঁরা শ্যালক-ভগিনীপতি মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা-গোয়ালতোড় রাজ্য সড়কের উপর রঞ্জা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রঞ্জা থেকে গোয়ালতোড়ের দিকে যাওয়ার পথে দ্রুত গতির বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার ধারে থাকা শাল গাছে। বাইকের গতি এতোটাই ছিল যে, ধাক্কা মারার পর বাইকটি প্রায় ৫০-৬০ মিটার দূরে উড়ে গিয়ে পড়ে। লুটিয়ে পড়েন বাইকে থাকা দু’জনই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয় পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের তরফে। তবে, বছর ১৮’র যুবক মার্শাল মুর্মুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাঁর ভগিনীপতি, বছর ৩২’র বিনোদ হাঁসদা।
জানা যায়, বিনোদের বাড়ি রঞ্জা এলাকাতেই। তাঁর শ্যালক মার্শালের বাড়ি গোয়ালতোড়ে। পিড়াকাটা সংলগ্ন রঞ্জা থেকে তাঁরা গোয়ালতোড়ের দিকেই যাচ্ছিলেন। রঞ্জার জঙ্গল রাস্তায় মাত্র ১-২ কিলোমিটার যেতে না যেতেই ঘটে এই দুর্ঘটনা! বাইক চালাচ্ছিলেন মার্শাল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিক অনুমান। বিনোদ মূলত হাতে ও পায়ে চোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে। দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিলোনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো, তাঁরা মদ্যপ ছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে পরিবারে ও এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া!
অন্যদিকে, কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থেকে একটি ম্যাটাডোরে (বা, হাতি গাড়িতে) করে মাদপুরের প্রসিদ্ধ মনসা মন্দিরে যাচ্ছিলেন আনন্দপুরের ১৮-১৯ জন যুবক। বেলা ১২টা নাগাদ মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামতলা সংলগ্ন তেতুলতলা এলাকায়, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে ধাক্কা মেরে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ম্যাটাডোরটি। ঘটনায় গুরুতর আহত হন কমবেশি সকলেই। স্থানীয়দের তৎপরতায় আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ১৩ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর মধ্যে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৯ জনের আঘাত গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।