দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুন: রাত পোহালেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। তাকিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (ঝাড়গ্রাম লোকসভা বাদে) ৩০ লক্ষ ৭১ হাজার ২৯৯ ভোটারও। মেদিনীপুরে জুন (জুন মালিয়া) না অগ্নি (অগ্নিমিত্রা পাল)? ঘাটালে দেব (দীপক অধিকারী) না হিরণ (হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়)? শেষ পর্যন্ত জয়ের ‘মুকুট’ উঠবে কার মাথায়? শুধুই জয়-পরাজয় নয়, জড়িয়ে চার ‘সেলিব্রেটি’ প্রার্থীর সম্মানের লড়াইও! ফলাফলের আগের রাতে (সোমবার রাতে) মেদিনীপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের স্পষ্ট বার্তা, “শংসাপত্র নিয়েই বেরোবো!” আত্মবিশ্বাসী জুন জানান, “জয়ের বিষয়ে ২০০ শতাংশ আশাবাদী! তবে, আমার তো হারানোর কিছু নেই, মেদিনীপুর বিধায়ক তো থাকবোই।” ঘাটালের ‘বিদায়ী’ সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, “আমরাই জিতছি। তৃণমূল রাজ্যে অন্তত ২৫-২৬টি আসন পাবে। বেশিও হতে পারে!” বিজেপি প্রার্থী তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ ‘সতর্ক’ করে দিয়েছেন নিজের কাউন্টিং এজেন্ট তথা গণনা’র দায়িত্বে থাকা কর্মীদের।

thebengalpost.net
স্ট্রং রুমে নজর অগ্নিমিত্রার:

উল্লেখ্য যে, ঘাটাল লোকসভায় এবার (২০২৪) ভোট পড়েছিল ৮২.১৭ শতাংশ। ১৯,৩৯,৯৪৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১৫,৯৩,৯৯০ জন। মেদিনীপুর লোকসভায় ভোট পড়েছিল ৮১.৫৬ শতাংশ। ১৮,১১,২৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৪,৭৭,৩০৯ জন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘাটাল লোকসভা দখলের ক্ষেত্রে তথা দেব-হিরণের জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দখল করতে চলেছে কেশপুর বিধানসভায় তৃণমূলের লিড। লিড ৩০ হাজারের ‘কম’ হলে নাকি কপালে দুঃখ আছে ‘বিদায়ী’ সাংসদের! অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, ফলাফলের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার (৩ জুন) বিকেলে ঘাটালে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, মেদিনীপুর লোকসভার অধীন খড়্গপুর সদর (বা, শহর) বিধানসভার ‘লিড’ (২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষ প্রায় ৪৫ হাজার লিড পেয়েছিলেন) অগ্নিমিত্রা-জুনের লড়াইয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা গ্রহণ করবে তা বলাই বাহুল্য। এই লোকসভার অধীন খড়্গপুর গ্রামীণে তৃণমূল অন্তত ১০-১৫ হাজার লিড পাবে বলে দলীয় কর্মী সমর্থকদের দাবি। অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহর সহ সদর বিধানসভায় বিজেপি অন্তত ১০ হাজার লিড পাবে বলে সমর্থকদের দাবি। এছাড়াও, নারায়ণগড়, এগরা বিধানসভায় লিড পাওয়ার কথা বিজেপি-র। কেশিয়াড়ি, দাঁতনের ক্ষেত্রে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ারই সম্ভাবনা। যদিও, সবই ‘সম্ভাবনা’ মাত্র, চার জুন (4 জুন) শেষ হাসি কে হাসবেন; তা শুধু জানেন ‘অন্তর্যামী’ জনতা-জনার্দনই!

thebengalpost.net
নজর জুন মালিয়া-রও: