শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ আগস্ট: না ‘রাস্তাশ্রী’, না ‘পথশ্রী’; পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গ্রামের রাস্তায় কোনও ‘শ্রী’-ই। বরং, রাস্তার ‘হতশ্রী’ দশা নিয়ে ছি ছি করে ওঠেন গ্রামবাসীরা! আর, বর্ষা এলে তো কোনও কথাই নেই। জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের। হাঁটু কাদা ভেঙে, নিত্য ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসীকে। আর কেউ অসুস্থ হলে বা মুমূর্ষকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে ভরসা একমাত্র বাঁশের মাচা! মোটের উপর বর্ষার ক’মাস রীতিমত আতঙ্কে থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ৭ নং গোবর্ধনপুর অঞ্চলের কুলতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, “আমাদের দাবি, অবিলম্বে এলাকায় পোক্ত বা কংক্রিটের রাস্তা করে দেওয়া হোক। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি আমরা। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। রাস্তার শুরুর কয়েকশো ফুট মাত্র পাকা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল! বর্ষা পড়লেই ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে মুমূর্ষ রোগীকে বাঁশের তৈরি মাচাতে করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়।প্রাণ বাঁচাতে একমাত্র মাচাই ভরসা!” আরেক বাসিন্দা জানান, “আমরা বহু বছর ধরে এই রাস্তার সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু, কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। বর্ষাকালে তো রাস্তা চলাচলেরই অযোগ্য হয়ে পড়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ না কেউ, প্রায় প্রতিদিনই কাদার মধ্যে পড়ে যায়। সাইকেল, বাইক চালানো যায়না! আর যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে তাঁকে একমাত্র মাচায় করে নিয়ে যেতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা, কোনো গাড়িই এই রাস্তায় আসতে পারে না।” উল্লেখ্য যে, গ্রামের প্রায় ২৫০টি পরিবার এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। বর্ষাকালে তাদের জীবন ‘যুদ্ধে’ পরিণত হয়। তাঁরা দাবি করছেন, অবিলম্বে এই রাস্তাটি পথশ্রী বা রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এনে পাকা করার ব্যবস্থা করা হোক। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “রাস্তাশ্রী, পথশ্রী প্রকল্পে জেলাজুড়ে অসংখ্য রাস্তা হয়েছে। এখনও চলছে। এছাড়াও, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির তরফেও রাস্তা তৈরি হচ্ছে। তবে, একথা অনস্বীকার্য যে, এখনও গ্রামের ভেতরের অনেক রাস্তাই কাঁচা আছে। ধীরে ধীরে হবে।” পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জানান, ওই রাস্তার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…