দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ এপ্রিল: রানওয়ে তৈরী হয়েছে আগেই। তবে, এবারও অবতরণ (ল্যান্ডিং) করলনা বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান! পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘বেলদা রানওয়ে’ (Belda Runaway)-র বেশ উপরে (প্রায় ১০০ মিটার উপরে) চক্কর কেটেই মহড়া শেষ করল বায়ুসেনার একাধিক যুদ্ধবিমান। এর আগে গত নভেম্বর মাসেও (১৬ নভেম্বর, ২০২৩) বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের মহড়া হয়েছে ৬০নং জাতীয় সড়কের উপর বেলদা রানওয়ের উপরে। সেবারও ল্যান্ডিং হয়নি। আর এবারও মহড়া ঘিরে রবিবার সকাল থেকে সাজো সাজো রব উঠেছিল ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর বেলদা রানওয়েতে। দুই পাশে ব্যারিকেডও করা হয়েছিল। তেরঙ্গা হাতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বায়ুসেনার জওয়ানরা। তবে, সবকিছুই যেন ফিকে হয়ে যায় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান রানওয়েতে অবতরণ না করায়! এনিয়ে নিজেদের হতাশা চেপে রাখেননি এলাকাবাসী থেকে শুরু করে পথচারীরা। তাঁদের মতে, যুদ্ধবিমান যখন অবতরণই করলোনা, সকাল থেকে এইভাবে ওই এলাকা ঘিরে ফেলার কি দরকার ছিল!
জানা যায়, এখনও রানওয়েতে অবতরণ করার অনুমতিই মেলেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে যুদ্ধবিমান অবতরণ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় চিঠিও পাঠানো হয়নি বলে জানা যায়। ফলে, রানওয়ে প্রস্তুত হলেও, প্রয়োজনীয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে যুদ্ধবিমান অবতরণ করানোর যে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন; সেসব কিছুই হয়নি এদিন। ফলে এদিনও আকাশপথে শুধুই মহড়া হয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিমানের অবতরণ হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা রানওয়েতে। জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, বেলদা রানওয়েতে যুদ্ধবিমান অবতরণ করানোর প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিলোনা বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের কাছে।
উল্লেখ্য যে, আপদকালীন বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদাতে জাতীয় সড়কের (৬০ নং) উপর তৈরী করা হয়েছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান অবতরণের রানওয়ে। বেলদা থানার শ্যামপুরা থেকে পোক্তাপুল পর্যন্ত এই ৫ কিলোমিটার সমান্তরাল হাইওয়ে-তে প্রস্তুত করা হয়েছে যুদ্ধবিমানের রানওয়ে। তবে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দু’দুবার মহড়া হয়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত অবতরণ করলো না যুদ্ধবিমান!