দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ ডিসেম্বর: অবশেষে বেঙ্গল পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরের জেরে তৎপর হল জেলা ও ব্লক প্রশাসন। দলের অঞ্চল সভাপতির ‘চোখরাঙানি’-তে গত ১ মাস ধরে যে পাকা ধান মাঠেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছিল; সেই ৫ বিঘা জমির ‘নবান্ন’-ই অবশেষে ঘরে তুললেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের সিদাডিহির কৃষক চিরঞ্জীব খান। মঙ্গলবার ও বুধবার মিলিয়ে মাঠে পড়ে থাকা তাঁর সব ধান কাটা হয় মূলত সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (BDO) ও ব্লক কৃষি আধিকারিক (ADA)-এর উদ্যোগে। তাঁদের ছাড়াও চিরঞ্জীব এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় এবং দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা-কেও। অভিযোগ পাওয়ার পরই সুজয় তৎপরতা দেখিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই প্রবীণ কর্মী ও সিদাডিহির বর্ধিষ্ণু কৃষক চিরঞ্জীব খান।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই শালবনী ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় হার্ভেস্টার মেশিনের সাহায্যে নিজের জমির ধান কেটে বাড়িতে তুললেন শালবনী ব্লকের ৩নং শালবনী অঞ্চলের সিদাডিহি গ্রামের বাসিন্দা চিরঞ্জীব খান। নবান্ন ঘরে উঠতেই খুশির হাসিতে ভাসল চিরঞ্জীবের গোটা পরিবার। মাঠে দাঁড়িয়ে চিরঞ্জীব বললেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার প্রণাম। এছাড়াও, বিডিও (রোমান মণ্ডল), জয়েন্ট বিডিও (দেবব্রত কোনার) এবং এডিএ-র তৎপরতাতেই আমি ধান কাটতে পেরেছি। তবে, আইসি (গোপাল বিশ্বাস)-র তরফে কোন সহায়তা পাইনি! তবে, আমার দলের জেলা সভাপতি সুজয় (হাজারা), আমার ছোট ভাইয়ের মতো, ও সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষস্থরে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ওকেও ধন্যবাদ জানাই। হয়তো আমার অনেকটা ধান নষ্ট হল, তবে শেষ পর্যন্ত আমি খুশি।” প্রসঙ্গত, স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত ঘোষের হুমকিতে দীর্ঘ এক-দেড়মাস ধরে নিজের জমির ধান কাটতে পারছিলেন না দলেরই প্রবীণ কর্মী চিরঞ্জীব খান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই রবিবার বেঙ্গল পোস্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অসিত। তবে, খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। বিডিও সহ ব্লক প্রশাসনের তৎপরতাতেই শালবনীর কৃষক শেষ পর্যন্ত ‘নবান্ন’ ঘরে তুললেন!