দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ অক্টোবর: “সবাই আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কখন, কোথায় মিসাইল পড়বে কেউ জানতো না! তাই, ২৪ ঘন্টাই সতর্ক থাকতে হতো। সাইরেন বাজলেই নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে সময় কাটাতে হতো।” যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে বাড়ি ফিরে ঠিক এভাবেই আতঙ্কের প্রহর গুলির অভিজ্ঞতা শোনালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের গবেষক-পড়ুয়া আকাশ পাঁজা। ঘরের ছেলের বাড়ি ফেরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত পরিবার। পুজোর আগেই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে আপ্লুত আকাশও! যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে গত ১৪ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন আকাশ। এজন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ঘাটালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বছর ২৫’র এই গবেষক। তাঁর মতে, “একটা সময় বাড়ি ফিরতে পারবো কিনা তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলাম! ভারত সরকারকে ধন্যবাদ আমাদের উদ্ধার করতে বিশেষ বিমান পাঠানোর জন্য।”
উল্লেখ্য যে, গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে ইজরায়েল। ঘাটাল পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশনগর এলাকার বাসিন্দা আকাশ গত আড়াই বছর আগে সেখানে গিয়েছিলেন গবেষণা করার জন্য। ইজরায়েলের আরিয়েল ইউনিভার্সিটি (Ariel University)-তে গবেষণারত আকাশ সহ এদেশের কয়েকশো গবেষক ও বিজ্ঞানীরা ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে আটকে পড়েছিলেন। একটা সময় প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে আসার বিষয়েও তৈরি হয়েছিল দুশ্চিন্তা! অবশেষে গত ১২ অক্টোবর থেকে ভারত সরকারের তরফে নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ বিমান পাঠানো হয়। ভারতীয় দূতাবাসের তৎপরতায় দেশে ফিরে আসেন আকাশ সহ কয়েকশো পড়ুয়া, গবেষক, বিজ্ঞানী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন। এদিকে, দেবীর বোধনের আগেই ছেলে বাড়ি ফিরে আসায় পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানান আকাশের মা রিক্তা পাঁজা।