দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জুলাই: বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিনের প্রচার। সকাল সকাল প্রচারে বেরিয়েছিলেন শালবনীর সৌমেন-ও। হঠাৎই আসে পরিচিত এক ব্যক্তির ফোন। ও প্রান্তের ব্যক্তি উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানান, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে নেই B+ রক্ত! এদিকে, তাঁর থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১২ বছরের ছেলের জন্য ওই গ্রুপের রক্তেরই প্রয়োজন। শোনা মাত্রই প্রচার ছেড়ে শালবনী থেকে মেদিনীপুর রওনা দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের মণ্ডলকুপি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌমেন ঘোষ। তবে, মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে পৌঁছনোর পর সৌমেন জানতে পারেন, ব্লাড ব্যাংকে বি-পজেটিভ রক্ত পাওয়া গেছে। এদিকে, ঠিক সেই সময়ই এক মহিলা সৌমেন-কে কাতর কন্ঠে জানান, তাঁর থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মেয়ের জন্য রক্তের প্রয়োজন। সৌমেন দেরি না করে রাজি হয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে এভাবেই মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্ত দান করে বেলা ১১-টা থেকে প্রচারে যোগ দেন সৌমেন।

thebengalpost.net
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে সৌমেন ঘোষ :

মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতৃত্ব তথা শালবনির মণ্ডলকুপির (২৪১নং) গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের প্রার্থী সৌমেন জানান, “চন্দ্রকোনা টাউন কুয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ ধাওয়া আমায় ফোন করে জানান, তাঁর ছেলে তৃশান ধাওয়ার জন্য রক্তের প্রয়োজন। আমি আগেও ওকে রক্ত দিয়েছি। মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকে B+ রক্ত না থাকায়, এবারও দেওয়ার কথা জানান। আমি ব্লাড ব্যাংকে পৌঁছে জানতে পারি, ব্লাড পাওয়া গেছে। আমি যখন ব্লাড ব্যাংকের সামনে ওনার সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম, তখন এক ভদ্রমহিলা আমার কাছে আসেন। তাঁর নাম নীলু বিবি। বাড়ির সতকুইয়ে। তিনি আমায় জানান যে তাঁর ছেলে ও মেয়ে দু’জনই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। ছেলে শেখ ফরমানের জন্য রক্ত পাওয়া গেলেও, মেয়ে ফিয়া পারভিনের রক্ত পাওয়া যাচ্ছেনা। এদিকে, মেয়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার ব্লাড আজকেই দিতে হবে। মেয়ের ব্লাড গ্রুপ O+। আমি তাঁকে বলি, আমার তো ব্লাড গ্রুপ B+। তখন উনি আমায় জানান যে, ব্লাড ব্যাংকে কথা বলেছেন, যদি কোন ডোনার রক্ত দেন, তবে তাঁরা অল্টারনেটিভ কিছু ব্যবস্থা করতে পারেন। আমি সেই আধিকারিকের সাথে কথা বলি এবং ব্লাড দিই। ঈশ্বরের কৃপায় ৩ জন শিশুই এখন সুস্থ আছেন।”