দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ জুন: গতকাল (বুধবার) রাতেও মেদিনীপুর শহরের গান্ধী মোড়ে নিজেদের আড্ডাস্থলে (শম্ভু দা’র চায়ের দোকানে) এসেছিলেন। রাত্রি সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই বিপত্তি! হঠাৎই বমি, তারপরই সেরিব্রাল অ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ! মাত্র ৫৫-তেই না ফেরার দেশে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা তথা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (AHM) প্রলয় বিশ্বাস। শুধু শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও শহর ও শহরের বাইরে যথেষ্ট পরিচিতি ছিল তাঁর। সকলের প্রিয় প্রলয় বাবু’র অকাল প্রয়াণে একপ্রকার শোকস্তব্ধ পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে তাঁর গুনমুগ্ধ শ্রোতা, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ছাত্র-ছাত্রীরা! বৃহস্পতিবার (১ জুন) ভোর ৩টা ২০ নাগাদ মেদিনীপুর থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে উলুবেড়িয়া এলাকায় ICU অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর, বিকেল নাগাদ তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
মেদিনীপুর শহরের সুভাষনগর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক (ইংরেজি বিষয়ের) ও সঙ্গীতশিল্পী প্রলয় বিশ্বাস রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে। বড় মেয়ে কলকাতায় একটি কলেজে পড়াশোনা করছেন বলে জানা যায়। ছোটো মেয়ে শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। প্রলয় বাবুর আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের মৌপালে। তবে, বহু বছর ধরেই শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা তিনি। জানা যায়, মিষ্টভাষী ও মিশুকে চরিত্রের প্রলয় বাবু আর পাঁচটা দিনের মতোই বুধবার রাতেও শহরের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে আড্ডা দিতে (বা, চা খেতে) এসেছিলেন গান্ধী মূর্তি সংলগ্ন এলাকায় (গান্ধী মোড়ে) একটি চায়ের দোকানে (শম্ভু দা’র দোকানে)। বাড়ি ফিরে রাত্রি ৯টা ৪০ নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানা যায়, সেই সময়ই সেরিব্রাল অ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাত্রি ২টো নাগাদ গভীর সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই, উলুবেড়িয়াতেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হৃদযন্ত্র বিকল) এর মাধ্যমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি! পরিবার-পরিজনদের মাধ্যমে জানা যায়, এর আগে ২০১৫-‘১৬ নাগাদ একবার হার্টের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে, কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপর থেকে সুস্থ ও সুন্দর ভাবেই জীবনযাপন করছিলেন কর্মচঞ্চল ও সৃজনশীল এই মানুষটি। যদিও, নিয়মিত প্রেসারের ওষুধ খেতে হত তাঁকে। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ীরা। ভাদুতলা বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী, মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রসূন কুমার পড়িয়া প্রমুখ জানান, “এখনও বিশ্বাস করতে পারছিনা। আমরা ভাষাহীন! গতকালও দেখা হল, কথা হল। আর, তার কিছুক্ষণ পরেই সব শেষ! শুধু এটুকুই বলব, আমাদের সকলের প্রিয় এই শিক্ষক ও শিল্পী মানুষটি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। ঈশ্বর ওঁর পরিবারকে শক্তি দিন!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…