দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জুন: রাত হলেই বাড়ছে ভয়। ভয়ে সন্ধ্যা থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ছেন সকলে। ডাইনি কিংবা ভূতের ভয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছে গ্রামের সকলে। তাঁদের বক্তব্য, গত এক-দেড় মাসে প্রায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্ক ভূত-প্রেত-আত্মা বা ডাইনি প্রবেশ করেছে গ্রামে! আসল কারণ খুঁজে দেখুক প্রশাসন। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মনোহরপুর পঞ্চায়েতের লোধা শবর অধ্যুষিত শাঁখারীমোড় বা সুন্দরপুর এলাকার। সোমবার অবশ্য গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একাধিক আধিকারিক সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল।
গ্রামে হঠাৎ করে বেড়েছে মৃত্যুর হার। তবে, সেই মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি। আতঙ্কে সন্ধ্যে হলেই বাড়ির মধ্যে সিঁটিয়ে থাকছেন পরিবারের লোকজন। এই বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “ওই এলাকায় ৬৯টি পরিবারের বাস। লোকসংখ্যা কমবেশি ২৬৫। গত জুলাই (২০২২) মাস থেকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের দু’জনের।” প্রশাসন এবং স্থানীয় এলাকাবাসীদের মারফত জানা যায়, লোধা অধ্যুষিত ওই গ্রামের মানুষজন চোলাই মদ বা বিষ মদ পান করেন। তাতেই, লিভারের সমস্যা এবং তা থেকে হার্ট অ্যাটাক সহ নানা কারণে মৃত্যু হয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য দপ্তর বা প্রশাসন এতদিন কেন উদাসীন ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি স্থানীয় প্রশাসন বা ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে।
গত একমাসে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ার পর অবশেষে সোমবার থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎপরতা শুরু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর ১৫ দিনের মাথায় তাঁর ছেলের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। যদিও, স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমান, সত্তোরোর্ধ্ব মায়ের মৃত্যু বার্ধক্য জনিত রোগের কারণে হলেও, বছর ৪০’র ছেলের মৃত্যু হয়েছে লিভার সিরোসিস বা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে লিভারের জটিল সমস্যার কারণে! এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ওই গ্রামে আগেও সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও, ওঁরা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র এড়িয়ে যেতেন।” চোলাই মদের এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারাও অভিযোগ করেছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত কোন লাভ হয়নি। গত প্রায় ১ বছরে ছোট্ট এই গ্রামে ১২ জনের মৃত্যুর পর, গ্রামের অবশিষ্ট বাসিন্দাদের সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। তাঁদের মতে, মৃত্যুর হার খুব একটা অস্বাভাবিক না হলেও, সোমবার থেকেই গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, ভূত-প্রেত বা ডাইনির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর সহ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…