দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুলাই: ১৫-টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩-টিই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে! যে ২টিতে ভোট হবে, সেখানেও বিপুলভাবে এগিয়ে শাসকদলই। তাতে কি এসে যায়! দলটার নাম যখন তৃণমূল আর জায়গাটার নাম কেশপুর; গোষ্ঠী কোন্দল, মারামারি, রক্তারক্তি এসব নাহলে আবার নির্বাচন কিসের; এমনটাই বলছেন বিরোধী দলগুলি। সোমবার ফের শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে রক্ত ঝরল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। ব্লক যুব সভাপতির অনুগামীদের সাথে সংঘর্ষ ব্লক সভাপতির অনুগামীদের! কেশপুরের শাকপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি হলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে কেশপুরের শাকপুর এলাকায় চা দোকানে বসেছিলেন কেশপুর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি আসিফ ইকবালের অনুগামীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যোৎ পাঁজা’র অনুগামীরা। এরপরই, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ঘটনায় আহত হয়েছে দু’পক্ষের অন্তত ৭ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে সোমবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাত্র ৫ দিন আগে, এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দলীয় স্তরে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।