অর্ণব দাস ও তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: আদিবাসী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ‘United Forum of all Adivasi Organization’ এর ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে স্তব্ধ হল জঙ্গলমহল। জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম- এর আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই বনধে। সড়কপথে যাত্রী পরিবহন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে সকাল থেকেই। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গাতে যাওয়ার বেসরকারি বাস বন্ধ। সরকারি বাসও আটকানো হয়েছে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গাতে। জেলা শহর মেদিনীপুরের কেরানিচটি সহ ভাদুতলা, শালবনী, চন্দ্রকোনা রোড, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা, কেশিয়াড়ি, বেলদা, খড়্গপুরের চৌরঙ্গী-তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বনধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় নামেন।

thebengalpost.net
৬০ নং জাতীয় সড়ক স্তব্ধ:

শুধু জঙ্গলমহলের এই জেলাগুলি নয়, বৃহস্পতিবারের এই বনধে প্রভাব পড়েছে বাংলার অন্যান্য জেলাতেও। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাটা, শালবনী, কেশিয়াড়ি, ডেবরা থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়, ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, লোধাসুলি প্রভৃতি সর্বত্র বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ দোকান-বাজার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, CRI রিপোর্ট পরিবর্তন করে অ-আদিবাসীদের অনৈতিকভাবে জোরপূর্বক ST তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করানোর অপচেষ্টা বা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ডাকে ১২ ঘন্টার এই বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর, সেই বনধ সফল করতে সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন রাজ্য সড়ক এবং ৬০ নং জাতীয় সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড করে রাস্তায় নামেন বনধ সমর্থনকারীরা।

thebengalpost.net
মেদিনীপুর শহরের কেরানিচটিতে :

অন্যদিকে, বনধ ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ উত্তেজনা তৈরি হল চন্দ্রকোনা ১নং (ক্ষীরপাই) বিডিও অফিস চত্বরে। বনধের সমর্থনে BDO অফিস, SI অফিস ও খাদ্যদপ্তরের অফিসের গেট বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আদিবাসী সংগঠনগুলির সদস্যরা। বনধেও খোলা রয়েছে বিডিও অফিস- এই অভিযোগ তুলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বিডিও অফিসের গেটে গেট বন্ধ করে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বিডিও অফিসের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

thebengalpost.net
বিডিও অফিস চত্বরে উত্তেজনা :